বিশেষ প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন তিনটি প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবে সংসদের চতুর্থ কার্যদিবসে এসব প্রশ্ন করেন তিনি।
সুমন বলেন, ১৯৯৫ সালে আইন করে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ করা হয়েছে। আইন প্রণয়নের পর ২০ বছর হয়ে গেছে। সম্প্রতি আমার এলাকার নদী খনন করতে গিয়ে দেখলাম, কয়েক হাজার মণ শুধু পলিথিন। এখন পলিথিন ব্যবহারকারীকে জরিমানা করে যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তার চেয়ে যদি পলিথিনের উৎপাদন এবং আমদানি বন্ধ করা হয়, সেদিকে আপনারা হাত দেবেন কিনা?
তিনি বলেন, আমার এলাকায় খেয়াল করে দেখলাম, ইটভাটাগুলোতে কৃষিজমির মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছু দিন পর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়। এটা এমনভাবে এমন জায়গায় চলে গেছে যে স্থানীয় প্রশাসন এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আরেকটি প্রশ্ন হলো— পরিবেশ বিভাগের ছাড়পত্র। আমার বিবেচনায় আমার এলাকায় খেয়াল করে দেখলাম, ছাড়পত্র পাওয়া সবচেয়ে বেশি বিবেচিত হয়। কারণ কোনোভাবে ম্যানেজ করে এই ছাড়পত্র নেওয়া যায়। এই ব্যাপারে আপনারা শক্তিশালী ব্যবস্থা নেবেন কিনা?
ব্যারিস্টার সুমনের এসব প্রশ্নের জবাবে বন ও পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র সহজীকরণের বিষয়ে আমাদের টার্গেট আছে। আমরা জানি, এখানে অনেক অভিযোগ আছে, দীর্ঘসূত্রতার একটা অভিযোগ আছে এবং হয়রানির অভিযোগ আছে।
এই বিষয়টি আমরা দেখছি। আজকে আমাদের মন্ত্রণালয় এবং এটুআই এমওইউ স্বাক্ষর করেছি। দ্বিতীয়ত ইটভাটার কথাটা বললেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ কোটি টন কৃষিজমি আমরা ব্যবহার করছি এই ইটভাটার জন্য এবং সেটি খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে একটি প্রভাব আছে। তবে সে সমাধান আমরা যেটা দিচ্ছি— আমরা এখন ব্লকের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।