স্পোর্টস ডেস্ক:
বড় পুঁজি পাওয়ার পরও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে পেরে উঠতে পারল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। এলোমেলো বোলিংয়ের পরও ফিল্ডারদের বেশ কিছু সুযোগ দিয়েছিলেন নাজিবউল্লাহ জাদরান এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে সহজ ক্যাচগুলো লুফে নিতে পারলেন না সিলেটের কেউ। ম্যাচ হেরে তাই মাশরাফি বিন মুর্তজা দায় দিলেন ফিল্ডারদের। সিলেটের অধিনায়ক মনে করেন, ক্যাচ মিস করলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতা যায় না।
তানজিদ তামিমকে হারালেও ইমরানুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আভিস্কা ফার্নান্দো। তবে রিচার্ড এনগারাভা এবং মাশরাফি মিলে চট্টগ্রামের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেন। দুজনে মিলে দ্রুতই তুলে নেন আভিস্কা ও ইমরানের উইকেট। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও চট্টগ্রামকে পথ হারাতে দেননি দিপু ও নাজিবউল্লাহ।
যদিও সেখানে তাদের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে কৃতিত্বটা আছে সিলেটের ফিল্ডারদেরও। ইনিংসের ১৩তম ওভারে বেন কাটিংয়ের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছিলেন নাজিবউল্লাহ। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি তানজিম হাসান সাকিব। তখন আফগানিস্তানের এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে।
অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও দুইবার বেঁচে যান নাজিবউল্লাহ। ইনিংসের ১৫তম ওভারে সাকিবের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। ড্রাইভ দিলেও শেষ পর্যন্ত সেটা লুফে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারে নাজমুল ইসলাম অপুরে বলে নাজিবউল্লাহর ক্যাচ ছাড়েন এনগারাভা।
তিনবার জীবন পেয়ে সেটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। খেলেছেন ৩০ বলে ৬১ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস। এদিকে জীবন পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি করা দিপুও। বেনি হাওয়েলের লেংথ ডেলিভারিতে সোজা ব্যাটে বোলারের মাথার উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ঠিকঠাক না হওয়ায় ক্যাচ চলে যায় হাওয়েলের কাছে।
তরুণ এই ব্যাটারের দেয়া ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি হাওয়েল। দিপু জীবন পান ২৬ রানে। জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ক্যাচ খেলেছেন ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস। তাদের দুজনের ব্যাটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম। ম্যাচ হারের জন্য ফিল্ডারদের দায় দিয়েছেন মাশরাফি।
সিলেটের অধিনায়ক বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, অল্প সময়ের মাঝে তিনটা ক্যাচ, টি-টোয়েন্টিতে কামব্যাক করা খুবই কঠিন। কারণ উইকেটে তো ডিউ করে আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছিলো। তখন আসলে ব্রেক দরকার ছিল। আমাদের সুযোগ ছিল কিন্তু আমরা হাতে নিতে পারিনি। আর টি-টোয়েন্টিতে এমন একটা জিনিস যে ভালো বলও ব্যাটাররা মারে বা শটস খেলে। সেখানে ক্যাচ ছাড়লে তো আর সুযোগ থাকে না। একটা হলে তাও পূরণ করা যায় তিনটা হলে তো আর পূরণ করা যায় না।’
বিপিএলের সবশেষ মৌসুমে এসেই সারপ্রাইজ দেখিয়েছিল সিলেট। মাশরাফির অধীনে সেবার ফাইনালও খেলেছিল তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। এবারের মৌসুম অবশ্য শুরু হলো হার দিয়ে। গত মৌসুমের মতো এবারও ফাইনালে যাওয়া সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি জানিয়েছেন, গতবার খেলেছে বলে এবারও ভালো হবে এমনটা নয়।
মাশরাফি বলেন, ‘এই সিজন তো কেবল শুরু হলো। এমনও হতে পারে এই দল ভালো খেলছে না। এটা খুবই স্বাভাবিক, এটা তো ক্রিকেটে হতেই পারে। আগেরবার ফাইনালে খেলেছি বলে এইবারও যে টপে যেতে পারব এরকম তো কথা নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে শেষ পর্যন্ত লড়াই করা। কেবল একটা ম্যাচ হয়েছে দেখা যাক সামনে কি হয়। তবে টি-টোয়েন্টিতে চ্যালেঞ্জিং। অন্যান্য দলের সঙ্গে তুলনা করলে অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে।’