পিন্টু দেবনাথ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি :
চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে শীত জেঁকে বসেছে।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া। কনকনে শীত। এ পরিস্থিতিতে শুধু গ্রামের নয়, শহরের মানুষের জীবনযাত্রাও বিপর্যস্ত। বিশেষ করে শীতের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয় ও অতিদরিদ্র মানুষের ওপর। তীব্র শীতের মধ্যে একদিকে যেমন কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলেছে। তেমনি নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির প্রভাবে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে রাতের তাপমাত্রা কমবে। তবে শিগগির শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।
এ সময়ে বৃষ্টির কারণ বিষয়ে আবহাওয়া অফিসের সংশ্লিষ্ট আবহাওয়াবিদ জানান, মৌসুমের লঘুচাপের কারণে ভারত থেকে ভেসে আসা মেঘপুঞ্জ থেকে এ বৃষ্টি ঝরছে। এ বৃষ্টির ধরন গুঁড়ি গুঁড়ি।
তবে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়লেও মাসের শেষে আবার শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হবে।
দেশের মধ্যে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের উত্তরের এ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, আর কয়েক দিন পর বোরো চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু এ শীতে বীজ তলায় অঙ্কুরোদগম হচ্ছে খুব কম।
সিলেট বিভাগের সিলেটে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরই কাছাকাছি ছিল শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌলভীবাজারে তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির। এখানেও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীতের সঙ্গে হিমেল হাওয়া। খেটে খাওয়া মানুষেরা খড়কুঠো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তীব্র শীতে জবুথবু পাহাড়ি জীবন।
মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে অসহায় মানুষেরা গরম কাপড়ের অভাববোধ করছেন।