বিশেষ প্রতিনিধি:::
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন চরবাজারে জনতার হাতে ট্রলিবোঝাই অনুমানিক সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৯০ বস্তা একই এলাকার ৩ টি গুদামের কয়েক হাজার বস্তা চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনি গতকাল রবিবার অলৌকিকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। গত শনিবার রাত ৮ টায় ট্রলিভর্তি ১৯০ বস্তা চিনি ভারতীয় চিনি আটক করে জনতা। এ সময় আশপাশের প্রায় ২ শতাধিক উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছিল।
জানা যায়,বেশ কয়েকমাস পূর্বে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, মধ্যনগর সহ বেশ’কটি উপজেলা থেকে চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনির বস্তা পরিবর্তন করে, অন্য বস্তায় ভর্তি করে ট্রলার বোঝাই করে অধিক মুনাফার লোভে আজমিরীগঞ্জে নিয়ে এসে বাজারজাত করছে একাধিক অসাধু ব্যবসায়ীচক্র।
গত শনিবার সন্ধ্যায় আবারও ট্রলার বোঝাই চোরাইপথে আসা ভারতীয় চিনি নিয়ে আসে ওই চক্রটি। লঞ্চঘাট থেকে ট্রলার থেকে চিনি ট্রলিভর্তি করে পৌরসভাধীন চরবাজারের রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় গুদামজাত করার জন্য নিয়ে আসে। রাত অনুমানিক ৮ টায় ওই এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন এলাকায় পৌঁছলে উৎসুক জনতা চোরাইপথে আসা ট্রলিভর্তি ভারতীয় ১৯০ বস্তা চিনি আটক করে। এ সময় আশপাশের ২ শতাধিক উৎসুক জনতা জড়ো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে ছুঁটে আসে। আটককৃত ১৯০ বস্তা চিনির ব্যাপারে জড়িত ব্যবসায়ী, পুলিশ ও এলাকার লোকজন একটি বৈঠকে বসে। ১৯০ বস্তা চিনি এসআই প্রদীপ রায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। গতকাল রবিবার চরবাজারের ৩ টি গুদামে হাজার হাজার চিনির বস্তা গায়েব হয়ে গেছে। এ ছাড়াও ১৯০ বস্তা চিনি কোথায় তা কারো জানা নেই বলে জানা নেই। এ ব্যাপারে থানার এসআই প্রদীপ রায় জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্হলে ছুঁটে গিয়ে ট্রলিভর্তি ১৯০ বস্তা চিনি আটক করি। চিনির মালিক সুজিতরায় ও বিক্রম মোদকের বলে জানতে পারি। ট্রলিভর্তি চিনি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। জড়িত ওই দুই ব্যবসায়ী জানায়, তাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। গতকাল রবিবার আমদানি করা চিনির কাগজপত্র থানায় নিয়ে আসার কথা থাকলেও তারা অদ্যাবধি আসেনি।