Friday, November 8, 2024
Homeঅপরাধসুনামগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মামলা, আসামি ২১৬

সুনামগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মামলা, আসামি ২১৬

দোয়ারা বাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:::

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় ঘটনায় ২১৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি ১৫০ জন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন নৈনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক’র ছেলে বাবুল মিয়া।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল হাসান শুক্রবার মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬৬ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন ১৫০ জন। এর মধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 

১০ জানুয়ারি দুপুরে দোয়ারাবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় মহিলাসহ কমপক্ষে দেড়শ জন আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ৫৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। এদের বেশিরভাগই পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হয়। দুপুর ১২টায় উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও নৈনগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে ১০০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় সংঘর্ষস্থল থেকে পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তারও করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সাত জানুয়ারি’র নির্বাচনে সুনামগঞ্জ—৫ আসনের দোয়ারাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিবুর রহমান মানিক ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেন্দ্রের পাশের গ্রাম পূর্ব মাছিমপুর ও পশ্চিম মাছিমপুরবাসীর মধ্যে এই সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল আশপাশের গ্রামের নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যেও।

গত মঙ্গলবার রাতে পূর্ব মাছিমপুরের আমরু মিয়ার ছেলে ঈগল মার্কার সমর্থক শামীম আহমদের সঙ্গে পাশের নৈনগাঁও গ্রামের নৌকার সমর্থক আবুল হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আবুল হোসেনের সমর্থকরা শামীম আহমদের পূর্ব মাছিমপুরের বাড়িতে ইট—পাটকেল ছোড়ে। পুলিশ রাতে পরিস্থিতি শান্ত করে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। সকালে শামীম আহমদ ও তার ভাই ইমরুল আহমদের নেতৃত্বে তাদের সমর্থকরা আবুল হোসেনের দোয়ারা বাজারের বাসভবনে এসে হামলা করে।

এ সময় আবুল হোসেনকে লক্ষ্য করে প্রতিপক্ষের লোকজন পিস্তল দিয়ে গুলিও করে। এই ঘটনার খবর নৈনগাঁও গ্রামে পৌঁছালে আবুল হোসেনের পক্ষের নৈনগাঁও গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা সদরে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ এক পর্যায়ে নৈনগাঁও ও পূর্ব মাছিমপুর গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের একশ’র বেশি লোকজন আহত হয়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments