Friday, November 8, 2024
Homeজাতীয়আইজিপির ভাইকে হারিয়ে জয়ার চমক

আইজিপির ভাইকে হারিয়ে জয়ার চমক

বিশেষ প্রতিনিধি:::

সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪ টিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। ব্যতিক্রম কেবল সুনামগঞ্জ-২ আসন (দিরাই-শাল্লা)। নৌকার জয়জয়কারের এই ভোটে বিরুদ্ধে স্রোতে দাঁড়িয়ে সুনামগঞ্জ-২ আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা। প্রায় ৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন কাঁচি প্রতিকের প্রার্থী জয়া।

ড. জয়া সেন এই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। এবারও আওয়ামী লগে থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ জয়া সেনের বদলে এ আসনে এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ওরফে আল আমিন চৌধুরী। তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ছোট ভাই। দলীয় মনোনয়বঞ্চিত হয়ে এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি।

জয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বিএনপি না থাকা সত্ত্বেও এ আসনে জমজমাট ভোটের লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দেয়।

সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জয়ার স্বামী সুরঞ্জিত। ফলে এ ভোটের মাঠে আসনটি সুরঞ্জিতের আসন হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের দলীয় ভোটের বাইরেও এখানে রয়েছে সুরঞ্জিতের বিশাল ব্যক্তি ইমেজ। সুরঞ্জিতের মৃত্যুর পর জয়া সেনও এখান থেকে টানা দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

অপরদিকে তার প্রতিন্দ্বন্দ্বি আল আমিন চৌধুরী শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হন তিনি। এছাড়া আল আমিনের বাবা শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তার পরিবারেরও ভালো গহণযোগ্যতা রয়েছে এলাকায়। ফলে শুরু থেকেই এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করা হচ্ছিলো।

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে আল আমিন ৪২ হাজার ৭৫ ভোট এবং কাঁচি প্রতীকে জয়া সেনগুপ্তা ৫০ হাজার ২৯৫ ভোট পেয়েছেন। ফলে প্রায় ৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেছেন জয়া সেন।

স্থানীয় কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, জয়া সেনের বিজয়ের নেপথ্যে সুরঞ্জিতের ব্যক্তি ইমেজ বড় ইস্যু ছিলো। পাশাপাশি এলাকাব্যক্তিক ইজমও কাজ করেছেন। জয়া বাড়ি দিরাই উপজেলায়। আর আল আমিন চৌধুরীর বাড়ি শাল্লা উপজেলায়। স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে দিরাইর লোক এমপি হয়েছেন। ভোটও বেশি দিরাই উপজেলার। দিরাইর ভোটাররা এবারও নিজেদের এলাকায় সংসদ সদস্য রাখতে চেয়েছেন। এছাড়া আল আমিন চৌধুরীর পারিবারিক সুনাম থাকলেও ব্যক্তিগত কিছু কারণে তার সমালোচনাও ছিলো। আবার জয়ার বিরুদ্ধে এলাকায় সময় না দেয়ার অভিযোগ থাকলেও ব্যক্তিগত কোন দুর্ণাম নেই। এ কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেকেই তার সঙ্গে প্রচার-প্রচারণায় ছিলেন।এসব কারণে জয়া জয় পেয়েছেন বলে মনে করেন ভোটাররা।

এ ব্যাপারে জয়া সেনগুপ্তা বলেন, ‘এই এলাকার ভোটাররা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ভালোবাসেন। তার অনুসারী হিসেবে আমাকেও পছন্দ করেন। ভোটে তারা আবারও তার প্রমাণ দিয়েছেন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments