বিশেষ প্রতিবেদন:
চলতি মাসের শুরু থেকেই শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আজ তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচনের দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভোটের দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দেশজুড়ে কুয়াশা থাকবে। উত্তরের জেলাগুলোয় থাকতে পারে ঘন কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে তা কিছু জায়গা থেকে কমতে পারে। আজ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৯ দশমিক ৮ ও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোটের দিন আবহাওয়ার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা এখন কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে শীতের অনুভূতি ভোটের দিনও দেশজুড়ে থাকবে। কিন্তু কনকনে ঠাণ্ডা বলতে যা বোঝায়, তা উত্তরের জনপদ বাদ দিয়ে অন্যত্র না–ও থাকতে পারে।
শীতের এ সময়টায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে উত্তরের জেলাগুলোয় ঘন কুয়াশা পড়ছে। নদী অববাহিকায়ও পড়ছে ঘন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। ভোটের দিন উত্তরের জেলাগুলোয় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও রংপুরে কুয়াশা থাকতে পারে বেশি মাত্রায়। তবে ঢাকাসহ অন্যত্র কুয়াশা হয়তো ততটা থাকবে না। চট্টগ্রাম বিভাগে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এখনকার তুলনায়।
গতকালের চেয়ে রাজধানীতে শীতের অনুভূতি কিছুটা কমেছে। গতকাল রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ তা হয়েছে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোটের দিন কুয়াশা বেশি থাকার কারণে উত্তরের জনপদগুলোয় যান ও বিমান চলাচল খানিকটা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক।