সুরমা নদীর বাঘা এবং কুশিয়ারা নদীর শিকপুর বহরগ্রাম ব্রিজ প্রক্রিয়াধীন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে নৌকার ভোট দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তিনি বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের নির্বাচনী মহাসমাবেশে কথা উল্লেখ করে বলেন, খেলা শেষ। ষড়যন্ত্রকারিদের খেলা শেষ। দুই উপজেলার মানুষ যেভাবে নৌকার সমর্থনে জনসমুদ্রে পরিণত করেছেন, এটা দেখে তারা বুঝে গেছে খেলা শেষ।
আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ সমর্থন দেয়ায় ৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্খী নাহিদ বলেন, ৯০ এর স্বৈরাজার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান, ৯৬ ভাত ও ভোটের অধিকার আদায় সম্ভব হয়েছে। এখন সময় এসেছে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকায় ভোট দেয়ার। গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারবাসী অতিতের ন্যায় এবারো নৌকার বিজয় শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন। দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে দুই উপজেলাবাসী অগ্রণি ভূমিকা রাখবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গোলাপগঞ্জ পৌরশহরের চৌমোহনীতে সিলেট-০৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সমর্থনে আয়োজিত শেষ নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরুক্ত কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, তপশীল ঘোষণার পর থেকে একটি বিশেষ মহল সাধারণ ভোটার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করে আসছে। নির্বাচনে কয়েকদিন পূর্বে থেকে তারা আমাকে জড়িয়ে সভা সমাবেশে নানা মিথ্যাচার করছে। এসব মিথ্যাচার করে নৌকার বিজয়রথ থামানো যাবে না। ৯১ সাল থেকে আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে বার বার নির্বাচিত হয়েছি জানিয়ে নৌকার প্রার্থী নাহিদ বলেন, আমার বয়স হয়েছে। এটি আমার শেষ নির্বাচন, আশা করি অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে ৭ জানুয়ারি আপনাদের জনরায় আমার পক্ষে থাকবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক আহমদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর ফখর ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় পধান বক্তা ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এড. মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, সদস্য সৈয়দ মিসবাহ, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, সিলেট সিটি কাউন্সিলর মাসুম আহমদ প্রমুখ।