জালাল উদ্দিন লস্কর,হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
মাধবপুরে ফসলী জমির পানি নিস্কাশন ব্যাহত করে মাঝ মাঠে পুকুর খনন করছে একটি প্রভাবশালী মহল।ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকায় ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে পুকুর খনন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে এবং ভুক্তভোগী কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে,মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আন্দিউড়া গ্রামের দক্ষিনের মাঠে আন্দিউড়া এবং পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর গ্রামের কৃষকদের কয়েকশো একর ফসলী জমি রয়েছে।
এ মাঠের পানি পুর্বদিকের খাটিঙ্গা বিলে নিস্কাশিত হয়।সম্প্রতি মাঠের মাঝখানে ইকবাল মিয়া ও স্বপন মিয়া তাদের জমিতে এক্সকেভেটর দিয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করে।
পুকুর খনন সম্পন্ন হলে মাঠের পানি নিস্কাশন বাঁধাগ্রস্ত হয়ে ফসলের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকায় ওই কৃষকদের পক্ষ থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পুকুর খনন বন্ধের দাবী জানিয়ে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে সাদেক মিয়া মেম্বার জানান, ‘ পুকুর খনন বন্ধ করা না হলে মাঠের অন্তত ৩শ একর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।ফলে কৃষকদের দূর্ভোগ বাড়বে।অভিযোগ করার পর পুলিশ এসে এক্সকেভটরের চাবি নিয়ে গেছে।আমাদের দাবী বিষয়টির সুষ্টু সুরাহার পর যেন চাবি ফেরত দেওয়া হয়।
মাধবপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, ‘ এক্সকেভেটরের চাবি তার জিম্মায় রয়েছে।’
পুকুর খননকারী স্বপন মিয়া জানান, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রশাসনের নিষেধ পাওয়ার পর পুকুর কাটা বন্ধ রেখেছি।খুব দ্রুত এক্সকেভটর সরিয়ে নেব আমরা।’
মাধবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সংস্লিষ্টদের পুকুর খনন বন্ধ করতে বলা হয়েছে।জমির শ্রেণী পরিবর্তনের অধিকার জমি মালিকের নাই।
চাইলেই নিজের জমিতে কেউ অনুমতি ছাড়া পুকুর খনন করতে পারেন না। বলার পরেও পুকুর খননের কাজ বন্ধ না করলে প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’