বিশেষ প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট পড়লেই প্রমাণ সাপেক্ষে সেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে চাকরিচ্যুত করা হবে ওই কেন্দ্রর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে। শতভাগ নিরপেক্ষতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। আগামী নির্বাচনের দিকে দেশি-বিদেশিসহ সবাই তাকিয়ে আছে।
শার্শা উপজেলা অডিটোরিয়ামে শনিবার বিকালে ‘ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের’ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবরাউল হাছান মজুমদার, জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার ও খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
এর আগে সকালে মনিরামপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন ২২ মাসে ১৩শ ভোট করেছে। একটাতেও অনিয়ম, অবিচার পাবেন না।
আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার বিকল্প নেই। এজন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আহসান হাবীব খান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীকে সুবিধা দিতে গিয়ে অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তাদের জন্য মায়া হয়। যদি কোনো শিক্ষক প্রার্থীকে সুবিধা দিতে গিয়ে নিজের চাকরি হারান, তবে সেটি দুঃখজনক হবে।
ভোটকেন্দ্রে যদি কেউ জোরাজুরি করে তাহলে পুলিশ ডেকে নিবৃত্ত করবেন। তারপরও ঠেকাতে না পারলে কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবেন। পরে ভোট নেওয়া হবে। কিন্তু কোনোভাবে জাল ভোট দিতে দেওয়া হবে না। একজন যদি জাল ভোট দেয়, তার জন্য পোলিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর।