মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উৎসব পালনে প্রস্তুত গির্জাগুলোও। গোশালা, ক্রিসমাস ট্রি, যজ্ঞবেদি সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। শিশুদের জন্য নানা উপহার নিয়ে অপেক্ষায় সান্তা ক্লজ। কমলগঞ্জ উপজেলার ৪৪টি গির্জায় চলছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের আয়োজন। ঘরে ঘরে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বড়দিন উৎসবটি পালন করতে গীর্জাগুলোতে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে।
কমলগঞ্জের সব গির্জায় নানা আলোয় সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। গির্জাগুলোতে রকমারি ফুলে সাজানো হচ্ছে যজ্ঞবেদি। যেখান থেকে প্রার্থনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হবে। গির্জায় অপেক্ষায় আছেন সান্তা ক্লজ। শিশুদের জন্য চকলেটসহ নানা উপহার সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত তিনি।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন গির্জায় গিয়ে দেখা গেছে, বড়দিনকে সামনে রেখে গির্জাগুলোতে চলছে শেষ মুুহুর্তের প্রস্তুতি। আলপনা একে নতুন করে রং করা, ধোয়ামোছার কাজের পাশাপাশি জীবানুনাশক স্প্রে ছিটাতে দেখা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন খাসিয়া পুঞ্জি, চা বাগানের গারো লাইন এলাকায় গীর্জাগুলো সাজাতে মেয়েরা আল্পনা একে সৌন্দর্য্য বাড়ানোর কাজ করে চলেছে।
কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রেসবিটারিয়ান চার্চের সদস্য শাকিল পামথেত বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা জাঁকজমকভাবে বড়দিন উৎসব পালন করতে সবধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রোববার রাত ১২.০১টায় গির্জায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে বড়দিনকে বরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।’
সিলেট প্রেসবিটারিয়ান সিনডের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফিলা পতমী বলেন, সব গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন সাধারণত ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে বড়দিনের আগেরদিন পর্যন্ত প্রতিটি গির্জা ম-লীগুলোর আয়োজনে ঘরে ঘরে কীর্তন-প্রার্থনার সভা ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, বড়দিন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রত্যেকটি চার্চের নিরাপত্তায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য থাকবে। কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া বড়দিন অনুষ্টান আয়োজনের সাথে যারা জড়িত আছেন তাদের সবার সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। যদি তারা কোনো জায়গায় সমস্যা মনে করে এটা আমাদের জানালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।