বিশেষ প্রতিনিধি হবিগঞ্জ::
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে দুই কূলই হারালেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী।
নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবার তার নির্বাচনী আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে সংসদ নির্বচনে আর অংশ নেওয়া হচ্ছে না ডা. মুশফিক হুসেনের।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় টিকিট পাওয়ার পর ২৮ নভেম্বর তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রে পদটি শুণ্য ঘোষনা করেন।
এবার হবিগঞ্জ-১ আসন ক্ষমতাসীন দলটি জাতীয়ণ পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে। তাই দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হয়েছে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে। ফলে এমপি হতে গিয়ে হারিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদও।
নৌকার মনোনয়ন পেয়ে তিনি জমাও করেছিলেন। যাচাই-বাচাইয়ে ঠিকে শুধু মার্কা নিয়ে জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার বাকি ছিল। মাঝখানে বাদ সেধেছে জাপা।
ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন। সবশেষ তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও নির্বাচিত হন।
এ বিষয়ে জানতে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে সামাজ যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. মুশফিক এক স্ট্যাটাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি লিখেন, শেখ হাসিনা আমাকে অনেক সম্মানিত করেছেন। তিনি নবীগঞ্জ বাহুবলের জনগণের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আজীবন ঋণী হয়ে থাকবেন বলেও জানান।