বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আজ রবিবার দুপুরে তিনি দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন। ফলে এ আসনে আর কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অনেকটা নির্ভার হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আজকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন জমা দিয়েছেন।’
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট-১ ও ৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু দল তাঁকে কোনো আসনে মনোনয়ন না দেওয়ায় পরে তিনি সিলেট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
এ আসনে আর কোনো শক্ত প্রার্থী না থাকায় ধারণা করা হচ্ছিল, ড. মোমেন ও মিসবাহ সিরাজের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কিন্তু মিসবাহর সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে হচ্ছে না ড. আব্দুল মোমেনকে। এ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন জাকের পার্টির মো. আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সোহেল আহমেদ চৌধুরী ও ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক।
সিলেট মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল সিলেট-৩ আসনে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
দল তাকে সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন দেয়। দলের এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বাবুল আগেই নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দেন। বাবুল বিগত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয় হয়েছিলেন।