লাইফস্টাইল প্রতিবেদক:
ই.আ.খান,
বর্তমানে বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে বিয়ের আগে একে অপরকে চেনার সুযোগ পায়। ফলে তারা একে অপরকে অনেকটা বুঝতে পারে। বিয়ের আগে যদি কারো পছন্দ-অপছন্দ, সুবিধা-অসুবিধা, চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে বোঝা যায়, তাহলে বিয়ের পর দাম্পত্য জীবন খুব ভালো হওয়ার কথা স্বাভাবিকভাবেই।
এমনিতে বিয়ের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। প্রয়োজন হয় বোঝাপড়ার। তাই বিয়ের আগে ও পরে কিছু বিষয়ে যত্ন নেওয়া উচিত। যেহেতু বিয়ের পর স্বামী- স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রেই জীবন অনেকটাই বদলে যায়। এই লেখায় কিছু টিপস রইল, যা আপনাকে সাহায্য করবে দাম্পত্য জীবন মধুর করতে।
বাগদত্তার সঙ্গে কথা বলুন,
কোনো সমস্যা থাকলে তা নিজের মনে না রেখে বাগদত্তার সঙ্গে কথা বলুন। সব কিছু খোলামেলা আলোচনা করা ভালো। যদি মনে দ্বিধা থাকে এবং সেটা নিয়ে কথা না বলেন তাহলে বিয়ের পরেও আপনি দ্বিধায় থাকবেন। এতে বিয়ের পর সম্পর্কে সমস্যা হতে পারে। তাই সমস্ত দ্বিধা এড়িয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন।
সন্তানের পাশাপাশি স্বামীকে গুরুত্ব,
অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা যায় বিয়ের পর যখন সন্তান হয়, তখন মেয়েদের মনযোগ তার সন্তানের দিকেই বেশি হয়। তবে সুস্থ সম্পর্কের জন্য দুজনকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিয়ের আগের মতো সন্তান হওয়ার পরও স্বামীকে গুরুত্ব দিন। শিশুরা যা দেখে, পরে তাই করে।
জয়-পরাজয়ের অনুভূতি দূরে রাখুন,
বিয়ের পর দম্পতির মধ্যে ঝগড়া-কলহ সাধারণ ঘটনা। কিন্তু কোনো বিবাদে জয়-পরাজয়ের কারণে মতভেদ দেখা দিলে সম্পর্কের মধ্যে সমস্যা বাড়ে। তাই সব সময় পরাজয় ও জয়ের অনুভূতি থেকে দূরে থাকুন। যে কোনো ঝগড়া দ্রুত মিটিয়ে নিন।
বিয়ের পরেও ডেটে যান,
অনেক সময় দেখা যায় সময়ের অভাবে দম্পতিরা ঘুরতে যেতে পারছেন না। এটা করলে তাদের প্রেমের জীবনে ভালোবাসা কমে যেতে পারে। তাই সময় পেলেই স্বামীর সঙ্গে ডেটে যান। সম্ভব হলে সময়ে স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করুন।
প্রতিটি সকাল হোক নতুন শুরু,
শুভ সকাল, শুভরাত্রির মতো শব্দগুলো বিয়ের পরেও সম্পর্ক মধুর করে। আগের রাতে হয়তো দুজনের ঝগড়া হয়েছে কিন্তু আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্বামীকে শুভ সকাল বলেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অপর ব্যক্তির রাগ কমবে।
একে অপরকে স্পেস দিন,
যে কোনো সম্পর্কে একে অপরকে স্পেস দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্বামী যদি কোথাও কাজ করে এবং আপনি যদি তাকে বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে বাইরে যাওয়ার স্পেস না দেন, তাহলে তার দম বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করবে। তাই সব সময় একে অপরকে স্পেস দিন।