রামকৃষ্ণ তালুকদার বিশেষ প্রতিনিধি হবিগঞ্জ::
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ- বাহুবল) আসনের জনগনের চাপে উন্নয়নের স্বার্থে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ নেমেছেন জননন্দিত সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে নবীগঞ্জ উপজেলার ব্যস্থতম জনবহুল ঢাকা-সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে দেওতৈল গ্রামে যান। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেয়া চৌধুরীর গণ সংযোগে জনতার ঢল নামে। তার ভক্ত বৃন্দরা মোটরসাইকেল শোভা যাত্রার মাধ্যমে এলাকার মানুষ নব উৎসবের মতো স্লোগানে স্লোগানে আনন্দে মেতে ওঠে। দেওতৈল গ্রামে গিয়ে রাস্তার অবস্থা দেখে তিনি হতাশায় পড়ে যান। এবং তিনি রাস্তার এমন বেহাল অবস্থা দেখে রিতিমত অবাক। এবং গ্রামের মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে গ্রামের নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতি সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা তাদের দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা জানান। রাস্তার এমন দৃশ্য দেখে ও তাদের মূখের কথা শুনে তাদেরকে শান্তনা দিয়ে বলেন, আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে আপনাদের এই ভাঙ্গা রাস্তা সহ অন্যান্য সকল সমস্যা দুর করার চেষ্টা করবো। দুপুরে দক্ষিণ দৌলতপুর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাদের খুজ খবর নেন।১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে গণ সংযোগ করেন। এবং আরো কয়েকটি গ্রামেও যান গণ সংযোগে। বিকালে মোটরসাইকেল শ্লোডাউন দিয়ে আউশকান্দি গ্রামে নিয়ে আসেন কেয়া চৌধুরী সর্মতিত লোকজন। এখানে এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে কাজী সেলিমের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা জলিল মিয়া, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, এহিয়া মিয়া, কাজী সেলিম ও কয়েকজন প্রবাসী প্রবিণ আওয়ামীলীগ নেতা সহ আরো অনেকেই। পরে সভার প্রধান অতিথি জননন্দিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ আসনে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ কারণে নেতাকর্মী ও জনগণের চাপে পড়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছি। ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এখানে একজন তিনির বক্তব্যে বলেছেন, আমি নেতা- না আমি নেতা নয়, আমি সেবক। আমি গণ মানুষের কাজ করি ও করতে চাই।
আমি এই দুই উপজেলার সকল নাগরিকদের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচে থাকতে চাই। আপনাদেরকে সাথে নিয়েই (নবীগঞ্জ- বাহুবল) এর উন্নয়ন করতে চাই। আশা করি এ নির্বাচনে আপনারা আমার পাশে থাকলে আমি বিজয় লাভ করবোই। যারা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আমার ও আমার লোকজনকে নানান রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তা আসলে ঠিক নয়। আমি তো কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বা কাজ করছিনা। আমি আমার এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। আপনারা ধয্য হারা হবেন না। পরনিন্দা কোন ভাল মানুষ করেনা। এদের পরিনতিও ভাল হয় না। যে যেমন তার আচরনও তেমন এটা বুঝতে হবে। সময় আসবে- শুধু মনে রাখবেন, সৎ পথে কাজ করলে অনেক বাধা আসবেই, এতে পিছু হাটলে চলবেনা। যে যাকে ভালবাসে তার পচন্দের মানুষকেই সে ভোট দেবে।
আমি মাটে-ঘাটে এই দুই উপজেলাকে মডেল উপজেলা পরিষদে পরিণত করতে দিনরাত কাজ করেছি। বিশেষ করে মহামারি করোনা কালীন সংকটের সময় অনেক জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার্মীরা ঘরে বসে থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি অসহায়- হতদরিদ্র মানুষের পাশে ছিলাম। সমাজের যেসব মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। তারা কিন্তু লোক লজ্জায় কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারেননি।
তাদেরকেও আমি গোপনে গোপনে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। এই দুই উপজেলায় মসজিদ- মাদ্রাসা, এতিমখানা, রবিদাশ সম্পদায়ের লোজনের বাড়ি-ঘরে টিবওয়েল, সৌর বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানান অনুদান রয়েছে আমার। বিপদ- আপদে সাধারন মানুষের পাশেও ছিলাম, থাকবো। এসব কারণেই তিনি আরো বলেন, এ কারণেই পরিবর্তনের ডাক দিয়ে দুই উপজেলার হাট বাজার গ্রামগঞ্জে, দলীয় নেতা কর্মী সহ সর্ব সাধারণের কাছে দোয়া চাচ্ছি। সন্ধার পর সর্ব সাধারনকে নিয়ে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে সকল ব্যবসায়ীদের নেতাকর্মীর সাথে পুরো বাজার ঘুরে সৌজন্য সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এতে অন্য গুরুপের লোকজন তৈলে বেগুলে জ্বলে ওঠে। তাদের একটা প্রশ্ন হঠাৎ করে কেয়া এতো লোকের ভালাবাসা কেমন করে ফেল? এরপর তিনি সৈয়দপুর বাজার এলাকার দিকে গণ সংযোগে রওনা দিলে আউশকান্দি বাজারো শুরু হয় নানান কানাকুষা।
বিরোধীরা এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে এবং নানান আলোচনার ঝড় ওঠে। এবং তা গণ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসইবুকে শোভা পাচ্ছে যে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সকলের প্রিয়মূখ এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীকে এমপি হিসেবে মানুষ দেখতে চায়।