গোয়াইনঘাট, প্রতিনিধি, মতিউর রহমান (দুলাল)::
দেশে জ্বালানি তৈলের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সিলেট ১০নং গ্যাসকূপের একটি স্তর থেকে এই তেল পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে দিনে ৫শ থেকে ৬শ ব্যারেল তেল পাওয়া যাবে। ১০ নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্র ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। ৭০ ব্যারেল তেল উঠেছে প্রথমদিনই। তেলের মজুদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে ৪ থেকে ৫ মাস পর।
তিনি বলেন, সিলেট-১০ নম্বর কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নীচের স্তরটি ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া যায়, এখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া যায় যেখানে ৮ ডিসেম্বর টেস্ট করে তেলের উপস্থিতি জানা যায়, যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯.৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যায়।
তেল ছাড়াও সেখানে ৪৩ দশমিক ৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘন মিটার গ্যাসের মজুদও মিলেছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে সিলেটের হরিপুরে ১৯৮৬ সালে তেলের মজুদ পাওয়া যায়।।