Friday, November 8, 2024
Homeসারাদেশসিলেটে তেলের সন্ধান, দৈনিক মিলবে ৬০০ ব্যারেল

সিলেটে তেলের সন্ধান, দৈনিক মিলবে ৬০০ ব্যারেল

বিশেষ প্রতিনিধি:

 

সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের পাশাপাশি জ্বালানি তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল হারে তেল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

 

রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।

 

সিলেট তামাবিল-জাফলং মহাসড়কের পাশে গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নের বাঘের সড়ক এলাকায় অবস্থিত এই গ্যাস কূপ।

 

প্রতিমন্ত্রী জানান, সিলেট-১০ নম্বর গ্যাসকূপে ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হয়েছে। কূপটিতে তিনটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নিচের স্তরটি ২ হাজার ৫৪০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ মিটার পর্যন্ত পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া গেছে; যার ফ্লোয়িং প্রেসার ৩ হাজার ২৫০ পিএসআই। গ্যাসের মজুতের পরিমাণ ৪৩ থেকে ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।

 

এ ছাড়া ২ হাজার ৪৬০ থেকে ২ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে আরও একটি ভালো গ্যাস স্তর পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে পরীক্ষা করলে ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। আর ২ হাজার ২৯০ থেকে ২ হাজার ৩১০ মিটার গভীরেও গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

 

গ্যাস ছাড়াও ওপরের দিকে ১ হাজার ৩৯৭ থেকে ১ হাজার ৪৪৫ মিটার গভীরতায় আরও একটি জোন পাওয়া গেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, যেখানে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যার প্রাথমিকভাবে এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি। সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাচ্ছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে মোট তেলের মজুত জানা যাবে।

 

একযোগে উৎপাদন করা হলে এই কূপটি প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর সাসটেইন করবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তা হলে কূপটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় সাসটেইন করবে।’

 

এর আগে ১৯৮৬ সালে হরিপুরে তেলের অস্থিত্ব পাওয়া গিয়েছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেই কূপটির স্থায়িত্ব ছিল পাঁচ বছর। সেখানে গ্রাভিটি পাওয়া গিয়েছিল এপিআই গ্রাভিটি ২৭ ডিগ্রি। এবার যে তেলের মজুত পাওয়া যাচ্ছে। সেই তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি।’

 

প্রথম দিনে দুই ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেলের মতো তেল উত্তোলন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তেল উত্তোলন আমরা আপাতত বন্ধ রেখেছি। এটা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, মোট মজুতের পরিমাণটা আমরা জানতে পারব। পুরো বিষয়টির বিস্তারিত জানতে আরও চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments