বিশেষ প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। বয়সে একেবারেই তরুণ। সবার চেয়ে বয়স যেমন কম, তেমনি সম্পদও কম।
তিনি আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে গরিব প্রার্থী! তার বার্ষিক আয় মাত্র ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কৃষি খাত থেকে ৩০ হাজার এবং আইন পেশা থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নগদ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে যৌথ মালিকানায় ঢাকা, হবিগঞ্জ ও নিজ বাড়িতে কিছু জমি আছে। যার সাকুল্য মূল্য ২৯ লাখ টাকা। স্ত্রীসহ তার ওপর নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ নেই। আয়ও নেই।
এসব তথ্য তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া নিজের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। জেলার চারটি আসনের মধ্যে বাকি তিনটি আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি আছে কয়েক কোটি টাকার। ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক। বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক তিনি। তার বাবা শরীফ উদ্দিন আহমেদ এ আসনে দুবার সংসদ-সদস্য ছিলেন।
১৯৯১ ও ৯৬ সালে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরই তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সংসদ-সদস্য মৃত্যুকালে স্ত্রী-সন্তানদের জন্য তেমন কোনো সম্পদ রেখে যাননি। অত্যন্ত সৎ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে তিনি সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। পেশায় তিনি প্রথমে শিক্ষকতা ও পরে আইনজীবী ছিলেন। বাবার সুবাধেই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। স্থানীয়দের দাবি-বদনাম নয়, যেন তিনি বাবার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখেন।