রামকৃষ্ণ তালুকদার বিশেষ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই পাতিল ও কড়াই এর মাধ্যমে ধান সিদ্ধ করার সেই পুরনো পদ্ধতি। আগের দিনে অগ্রাহন মাস শুরু হলে গ্রাম এলাকায় আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যেত।সেই সাথে প্রতিটি পরিবারে সারা বছর বা কিছু দিনের জন্য ধান সিদ্ধ করে চাল বানিয়ে ঘরে সংরক্ষণ রাখা হতো। ঐ ধান সিদ্ধ করার আগেই বেলে বা আটাল মাটি মিশিয়ে পাতিল অথবা কড়াইয়ের মাপ অনুযায়ী চুলা তৈরি করা হতো।এ কাজে গ্রামের মায়েরাই দ্বায়িত্ব পালন করছেন। আগের দিন ধান ভিজিয়ে রেখে পরের দিন ভোর রাতে পাতিল বা কড়াই ঐ চুলার আগায় বসিয়ে ধান সিদ্ধ শুরু করা হতো।যতক্ষণ আঙ্গিনায় রোদ প্রবেশ না করে ততক্ষণ চলতো ধান সিদ্ধ। এতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো ধানের শুকনো খড়।সময়ের পরিক্রমায় ঐ পদ্ধতিতে ধান সিদ্ধ এখন আর চোখে পড়ে না বললেই চলে। পাহাড় পুর গ্রামের বৃদ্ধা শেফালী রানী দাস(৭০) জনান আগের দিনে ধান সিদ্ধ করার জন্য প্রায় সাত দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করতে হতো।বাড়ির গৃহিণীরা ধান সিদ্ধর দিন ভাত রান্না করার সময় পেত না।বলদী গ্রামের লোকেশ দাশ জানান এখন আর কড়াই বা মাটির পাতিলে কেউ ধান সিদ্ধ করে না।বড় বড় ড্রামের তৈরী চালা নাউ বানিয়ে ধান সিদ্ধ করা হয়। এক চালায় নাউয়ে অনেক ধান দিয়ে দ্রুত সময়ে সিদ্ধ করা যায়। ফলে সময় ও জ্বালানি দুটোই সাশ্রয় হয়।