বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অনুসন্ধান চালিয়ে আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। ২০৩ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করে ৪৩.৭ বিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে এতে।
এই কূপটি থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, হরিপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ৮ কিলোমিটর দূরে গোয়াইনঘাটের এই খাগড়ার হাওরে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গ্যাস অনুসন্ধানে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালায় সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কোম্পানী।
জরিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২ সালে ২০৩ কোটি টাকা ব্যায়ে কূপ খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কূপ খননের কাজ পায় চীনের কোম্পানী সিনোপ্যাক। গত জুনের শেষ দিকে কাজ শুরু করে ৫ মাসের মাথায় রোববার সকালে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের সন্ধান মিলে।
এদিকে পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পরই কাজ শুরু করেন কর্মকর্তারা। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে মিজানুর রহমান জানান, এখানে ৪৩.৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে, যা থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে। তবে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পাইপ লাইন তৈরি করে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তার মতে এখানে মজুদ গ্যাসের সর্বনিম্ন মূল্য প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি মূল্যের সঙ্গে তুলনা করলে মজুদ গ্যাসের মূল্য দাড়াবে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে এসজিএফএলের দৈনিক উৎপাদন দাঁড়াবে ১১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।