লাইফস্টাইল:
রান্না করা এবং কাঁচা খাবার উভয়েরই স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা রয়েছে। এটা আসলে খাবারের ওপর নির্ভর করে। তবে কিছু খাবারকে একদম খাঁটি অবস্থায় খাওয়া হলে তা কখনও কখনও উপকারী হয় এবং প্রকৃতপক্ষে সুস্বাদুও হয়। আবার কিছু খাবার রান্না করা হলে তা হজমশক্তি বাড়াতে পারে, কিছু পরিপোষক পদার্থের প্রাপ্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ক্ষতিকারক যৌগ এবং ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে পারে।
বাদাম: বাদাম খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এগুলি ভাজাও খাওয়া যায়, তবে এগুলি কাঁচা খাওয়া নিশ্চিত করবে যে আপনি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না।
পেঁয়াজ: পেঁয়াজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। পেঁয়াজকে গরমে উত্তপ্ত করা হলে তাতে ক্যান্সার-রক্ষাকারী ফাইটোকেমিক্যালগুলির উপকারিতা কমে যায়। কাঁচা পেঁয়াজের সালফিউরিক যৌগগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে, ইনসুলিন উৎপাদনকে বৃদ্ধি করতে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করতে পারে।
রসুন: রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং সালফিউরিক যৌগ রয়েছে, যার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকরী উপকারিতা রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। রসুন রান্না করা হলে এই অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক সালফিউরিক যৌগগুলি ধ্বংস করতে পারে।
শসা: শসা মানে হল তাজা, কুরকুরে এবং মুচমুচে টেক্সচারওয়ালা সবজি। শসাকে রান্না করা হলে তা কেবল এর টেক্সচারকেই প্রভাবিত করবে না, বরং এর পুষ্টিগুণও হ্রাস করবে।
লেবু: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে, এবং এই পুষ্টিগুণগুলো তাপ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
টমেটো: কাঁচা কিংবা রান্না করা টমেটো কিন্তু সবসময়ই খেতে খুবই ভালো লাগে। এগুলি রান্না করলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিনের প্রাপ্তি বাড়বে। তবে আপনি যদি আপনার ভিটামিন সি গ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকেন তবে এগুলি কাঁচা খাওয়াই ভালো হবে।
গাজর: গাজর রান্না করে খেলে হলে তা বিটা ক্যারোটিন শোষণে সহায়তা করতে পারে, যা তারপরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। তবে গাজর কাঁচা খাওয়া হলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়ে থাকে।
পালংশাক: এই পাতাযুক্ত শাকগুলি ভিটামিন সি এবং ই এবং ফাইবারের পাশাপাশি আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। তাপের সংস্পর্শ এলে কিন্তু এগুলোর উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
বিটরুট: বিটরুট ভিটামিনে ভরপুর এবং ফোলেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি দুর্দান্ত উৎস এবং নাইট্রিক অক্সাইড (NO)-এর প্রাপ্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে এটি রান্না করা হলে এই বৈশিষ্ট্যগুলির কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো রান্না করা হলে এর খনিজগুণ এবং ফাইবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবুও, অ্যাভোকাডোকে রান্না করা যেতে পারে।
বেরি: এগুলি শুধুমাত্র পুষ্টির ক্ষেত্রেই অসাধারণ নয়, এগুলি কিন্তু সুস্বাদু এবং বহু গুণসমৃদ্ধ। এগুলি তাজা, হিমায়িত বা শুকনো করে খাওয়া হলে বেশি সুস্বাদু লাগে।
নারিকেল: নারিকেল কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। নারিকেলের পানি ইলেক্ট্রোলাইটের একটি প্রাকৃতিক উৎস, তাই সত্যিই এটির ক্ষেত্রে আপনার কোনো ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মূলা: মূলো রান্না করা হলে তা এর কড়া গন্ধকে কমাতে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে, তবে এর ফলে আপনি কতটা ভিটামিন এবং খনিজ পাবেন তাও প্রভাবিত হয়।
লাল গোলমরিচ: এগুলিতে ক্যালোরি কম এবং এগুলি ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিশেষত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। লাল গোলমরিচ কাঁচা খাওয়া উচিত, কারণ এগুলি রান্না করা হলে এদের পুষ্টিগুণ, বিশেষত ভিটামিন বি এবং সি ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।