মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগান থেকে ৫টি আকাশমনি গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি চা বাগানের ভেতরে ক্লাববাংলো সড়কের পাশ থেকে আকাশমনি প্রজাতির মূল্যবান গাছগুরো চুরি হয়। এঘটনায় চা বাগান ব্যবস্থাপক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
চা শ্রমিকরা জানান, ন্যাশনাল টি কোম্পানীর কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের ক্লাববাংলো সড়কের পাশ থেকে সম্প্রতি আকাশমনি প্রজাতির মূল্যবান ৫টি গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চুর চক্র। খবর পেয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করেছে।
এভাবে মাঝেমধ্যে চা বাগানের সেকশন সমুহ থেকেও ছায়াবৃক্ষ হিসাবে গাছ চুরির ঘটনা ঘটছে। ফলে চায়ের উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনছে। চা বাগানে চায়ের টিলাভূমিতে গাছগাছালি অতিবৃষ্টি ও প্রখর রোদ থেকে রক্ষার জন্য মূলত: চা গাছ লাগানো হয়। যেকারণে চা বাগানের টিলাভূমিতে গাছ একদিকে চায়ের উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে আবার পরিবেশের জন্য উপকৃত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাত্রখোলা চা বাগান শ্রমিকরা জানান, এই বাগানে চা শ্রমিকদের দু’টি গ্রুপ রয়েছে। তাদের দ্বন্ধ, সংঘাত নানা সময়েই চলছে। এতে গাছ চুরিসহ নানা অনিয়ম দুর্ণীতির ঘটনাও ঘটছে। ফলে সার্বিকভাবে বাগানের ব্যাপক ক্ষতি বয়ে আনছে। তবে গাছ চুরির ঘটনায় এখনও কাউকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে পাত্রখোলা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন বলেন, গত কয়েকদিনে চা বাগান থেকে প্রায় ৫০টির মতো গাছ চুরি হয়েছে। মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসিদ আলী বলেন, গাছ চুরির বিষয়টি জানতে পেরে বাগানের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে ম্যানেজমেন্টের কিছু গাফিলতি থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
এব্যাপারে পাত্রখেলা চা বাগান ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ৫০টি গাছ চুরির বিষয়টি মোটেও সঠিক নয়। পাঁচটি গাছ চুরি হওয়ার ঘটনায় আমরা তদন্ত করেছি এবং কমলগঞ্জ থানায়ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশও তদন্ত করছে।