বিশেষ প্রতিনিধি।
আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, তোরণের মত যাবতীয় আগাম প্রচার সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এসব প্রচার সামগ্রী সরানোর খরচ সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকেই বহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
বুধবার নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরদিন স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে ইসি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় হচ্ছে ৩০ নভেম্বর। এরপর ১-৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বাছাই আর ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হবে। তার তিন সপ্তাহ পর ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত ইসির নির্দেশনা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচার সামগ্রী ও নির্বাচনি ক্যাম্প থাকলে সেগুলো অপসারণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণা সামগ্রী থাকলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নিজ খরচে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে ইসি।
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে হবে। এজন্য নির্ধারিত সময়ে প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হলো।
ইসি কর্মকর্তারা বলেছেন, ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকে নিজ নির্বাচনি এলাকায় শহর, গ্রামেগঞ্জে নানা ধরনের পোস্টার, লিফলেটসহ প্রচারপত্র করেছেন। সংশ্লিষ্টরা প্রার্থী হলেই তাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠতে পারে।
আচরণবিধি না মানলে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলসহ নিবন্ধিত দলকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার করারও বিধান রয়েছে।