বিশেষ প্রতিনিধি:
কুকুর মারতে লাঠি নিয়ে বের হয়েছে স্থানীয়রা।
হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলা গ্রামে দেখা দিয়েছে পাগলা কুকুর আতঙ্ক। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন ১৪ জন। আহতরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ইনজেকশন নিতে গেলে কর্তব্যরত স্টাফরা তাদেরকে জানান, শুক্রবারে ইনজেকশন হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে এনে দিতে বলেন তারা।
পরে হাসপাতালের বাইরের ফার্মেসি থেকে ইনজেকশন কিনে এনে দেন আহতরা।
বহুলা গ্রামের অ্যাডভোকেট আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, হঠাৎ করে কয়েকটি কুকুর যাকেই সামনে পাচ্ছে তাকেই কামড় দিচ্ছে। তার স্কুলের আয়া রিনা আক্তার ও হবিগঞ্জ আদালতের স্টাফ তানভীর আহমেদ নয়নকে কুকুর কামড়ালে তিনি তাদেরকে নিয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত স্টাফরা শুক্রবার হাসপাতাল থেকে কোনো ইনজেকশন দেওয়া হয় না, বাইরে থেকে আনতে হবে বললে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে হাসপাতালের সামনের ফার্মেসি থেকে ৫০০ টাকা করে ইনজেকশন কিনে আনতে হয়। গ্রামের যুবকরা পাগলা কুকুরকে মারার জন্য লাঠিসোটা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
মানুষকে পাগলা কুকুরের কামড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জল। তিনি বলেন, ‘পাগলা কুকুরের কামড়ে আহতরা নির্দিষ্ট সময়ে চিকিৎসা না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কুকুর তো শুক্রবার শনিবার দেখে কামড়ায় না। প্রতিদিনই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তার সংবাদ আমার কাছে নেই। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
পরে তিনি খোঁজ নিয়ে বলেন, ‘ফ্রিজ নষ্ট থাকায় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি।