আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ ভাষণেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। ফলে সবার নজর এখন ইসির দিকে।
সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে থাকে। অর্থাৎ নির্বাচন কত তারিখ হবে সেটি ঘোষণা। কিন্তু তফসিল মানে শুধুই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত খুঁটিনাটি আরও অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত জড়িত এই তফসিলের সঙ্গে।
তফসিল নিয়ে আরো পড়ুন
আজ সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা
তফসিল হলো- নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্যেও একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয়। যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন সেটি ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায় তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন। যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনী প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে – সেটির উল্লেখ থাকে।
সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার সঙ্গে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে। নির্বাচন কয় তারিখ হবে, কয়টায় শুরু হবে আর কয়টা পর্যন্ত চলবে সেটির বিস্তারিত এবং ভোটের পর তার গণনা কিভাবে ও কোথায় হবে সেটিরও বৃত্তান্ত থাকে। এই পুরো বিষয়টিকেই নির্বাচনের তফসিল বলা হয়।
এদিকে, তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গোটা দেশের চোখ এখন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের দিকে। কী হতে পারে ইসির বৈঠকে, সিইসির ভাষণে কী ঘোষণা আসতে পারে, আদৌ এদিন তফসিল ঘোষণা হবে কি-না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা।