নিজস্ব প্রতিবেদক:::
সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরিবেশ রয়েছে। আগামী সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান ইসির এই মুখপাত্র।
সচিব বলেন, সম্পূর্ণরূপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মতো পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি, এ বিষয়ে সিইসি বারবার বলেছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অত্যাসন্ন জানিয়ে জাহাংগীর আলম জানান, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন প্রস্তুতি সংক্রান্ত সব ধরনের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করবেন তারা। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা থাকলে তা কমিশন শুনবে। তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। এ-সংক্রান্ত কমিশন সভা এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি।
ইতোমধ্যে কমিশন বারবার বলেছে, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয়ার্ধের যেকোনও দিন তফসিল হতে পারে। সেই হিসাবে ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে, জানান সচিব।
বিদেশি অবজারভার বিষয়ে মো. জাহাংগীর জানান, এ পর্যন্ত কমিশনকে মেইলের তিনটি (এনডিআই, ইইউ ও কমনওয়েলথ) প্রতিষ্ঠান কনফার্ম করে গেছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান, যেটা প্রি অ্যাসেসমেন্ট করে গেছে; ইইউ আগেই বলেছে এবং অতি সম্প্রতি কমনওয়েলথের একটি টিম ইসির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে।
সচিব বলেন, ২১ নভেম্বর সময় রয়েছে আবেদনের। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত সেলের মাধ্যমে সমন্বয়ের পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যাবে তারা কতজন আসবেন।
আগামী সপ্তাহের কোন সময়ে তফসিল হতে পারে, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। তখন গণমাধ্যমকে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, তার সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনি মালামালও ধাপে ধাপে জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সচিব জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাসময়ে পরিপত্র জারি করে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মাঠে থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে এবং সেভাবে মন্ত্রণালয় কাজ করবে।