দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজারে এক ব্যাবসায়ীর পাওনা টাকা চাইতে গীয়ে গরু চোরীর অপবাদ দিয়ে বেদরক মারপিট করেছে সংঘবদ্ধ চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা হকনগর বাজারে। ঘটনা সুত্রে জানাযায় গত শনিবার রাতে সাবেক ইউপি সদস্য হাসীবুদ্দিনের পুত্র মাহতাব উদ্দিন কে রাবার ডাম্প থেকে মোটরসাইকেলে করে জুটন ভুইয়া ও খরশেদ আলম মিলে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বাজারের শিকদার ফার্মেসীর সামনে পৌছালে সেখানেই তাদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এসময় বাজারের মধ্যেই জুটন ভুইয়া ও খুরশেদ আলম দুইজন মিলে বেদরক মারপিট করতে থাকে। পরে বাজারের লোকজন মিলে তাদের দুই পক্ষকে শান্ত করেন। এর কিছু সময় পরে জুটন ভুইয়া ও খুরশেদ আলমের লোকজন দা, রামদা নিয়া বাজারে মহড়া দেয়।
আহত মাহতাব উদ্দিন জানান, আমার কাছ থেকে খুরশেদ আলম ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার পাথর কিনে নেয়। সেই সুবাদে খুরশেদ আলমের কাছে আমি ৭৭ হাজার টাকা পাই। সেই টাকা বার বার চাইলেও টাকা দিতে অসীকৃতি জানায় খুরশেদ। পরে স্থানীয় শালিশ ব্যাক্তি গণের স্বীদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার পাওনা টাকা দুই দিনের মধ্যে দেয়ার জন্য সময় নির্ধারণ করেদেন। খুরশেদ, শালীশ গণের উপস্থিতিতে আমার পাওনা টাকা দেয়ার স্বীকারুক্তি দেয়। সেই টাকা ফেরত দেয়ার আগেই এলাকার চিহ্নিত ভারতীয় চোরা কারবারী জুটন ভুইয়াকে নিয়ে খুরশেদ, আমাকে হত্যার উদ্যেশে মোটরসাইকেল তুলে ধরে নিয়ে যায়, পরে আমি বাজারের মধ্যখানে গীয়ে মোটরসাইকেল থেকে লাপ দিয়ে পরে যাই। আগে থেকেই আমার অপেন হার্ড সার্জারী থাকায় এবং আমার পরনে লুঙ্গি থাকায় আমি তাদের সাথে শক্তি করতে পারিনি। তারা আমাকে বাজারের শিকদার ফার্মেসীর সামনে বেদরক মারপিট করে। এসময় বাজারের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন। এলাকার লোকজন জানেন জুটন ভুইয়া ও খুরশেদ আলম দুইজনই ভারতীয় চোরা কারবারি। গত কয়েকদিন আগে ভারতের খাসীয়াদের এগটা গাভী ও বাচুর সহ চোরি করে নিয়ে আসে। আমার পাওনা টাকা না দেয়ার পায়তারা করে খুশেদ আলম। জুটন ভুইয়া এর আগেও কয়েকটা মামলার আসামী, র্যাবের হাতেও আটক হয়ে জেল কাটার রেকর্ডও আছে তার বিরুদ্ধে। তারা আবার বয়োবৃদ্ধ বাবাকেও দাক্ষা দিয়ে রোডে ফেলেদেয়,আমার বাবাও বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। ভারতের সীমানা ফেরীয়ে চোরি করতেছে তারা আমি একজন অসুস্থ মানুষ।
এব্যারে খুরশেদ আলম জানান, আমি মাহতাবের কাছে পাই ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, আর মাহতাব আমার কাছে পায় ৭৭ হাজার টাকা। আমরা তাকে ধরে নিয়ে জাইনি। তাকে মোটরসাইকেলে করে হকনগর বাজারে নিয়ে আসার পথে আমার কলারে ধরে মাটিতে ফেলেদেয়, পরে আমি ৩/৪ টা চর থাপ্পর দিয়েছে। মাহতাব উদ্দিন ও মিছির আলী দুইজনে মিলে ভারতের খাসীয়ার একটা চোরাই গাভী ও বাচুর ক্রয় করে। এখন আমাদের এলাকার লোকজন খোব সমস্যায় আছি। গরু নিয়া ঘাস খাওয়ানীর জন্য সীমানায় যাওয়া যাচ্ছেনা। যে
ইউপি সদস্য আল আমিন জানান, আমাদের এলাকার লোকজন বড় অশান্তিতে আছে। গরু নিয়া ঘাস খাওয়ানির জন্য সামানা এলাকায় যেতে পারছেনা। কয়েকজ চোর মিলে খাসীয়াদের গরু চুরি করে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশে। এখন খাসীয়ারা এলাকার গরু ধরে যাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করতেছে। এর জন্য আমি চারজনকে এনে জিজ্ঞাসা করার জন্য ধরে নিয়ে আসী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরী আসে মাহতাব ও মিছির আলী চোরাই গরু কিনেছে,আমি চেষ্টা করতেছি গরুটা ফেরত দিয়ে এলাকা শান্ত করার চেষ্টা করতেছি।