Friday, November 8, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলকিসমিসের যত উপকার, প্রতিদিন খান কিসমিস

কিসমিসের যত উপকার, প্রতিদিন খান কিসমিস

স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:

আঙুর খুবই রসালো এবং সুস্বাদু ফল। এর টক-মিষ্টি স্বাদের জন্য এটি অনেকেরই প্রিয়। অন্যদিকে আঙুর শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। সেটিও অনেকেই খেতে ভালবাসেন। এটিও স্বাদে মিষ্টি এবং বিভিন্ন খাবারে এর ব্যবহার হয়। সেমাই হোক বা পায়েশ, তাতে কিসমিস যেন এক সাধারণ উপকরণ।

 

 

এই ড্রাই ফ্রুটস রান্না করা খাবারে হোক বা সরাসরি প্যাকেট থেকে বের করেই শুধু কিসমিস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের জন্য অনেক ভালো। কিসমিসে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ফাইবার রয়েছে। কিসমিস শরীরে যেমন শক্তি যোগায় এবং রক্ত উৎপাদনেও সহায়তা করে।

 

 

কিসমিস মিষ্টি হওয়ায় অনেকেই কিসমিস খেতে ভয় পান। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে। তবে পুষ্টিবিদদের মতে যে সব খাবারে ফ্রুক্টোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে সেই সব খাবারও পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। তার জন্য রক্তে শর্করার মাত্রায় খুব একটা হেরফের হয় না। তার মধ্যে অন্যতম হল কিসমিস।

 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কিসমিসের কিছু উপকার।

 

১. কিসমিসে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এ সব রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

 

২. কিসমিসে রয়েছে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ কোনও হেরফের হয় না। এ ছাড়া কিসমিসে থাকা ফাইবার অতিরিক্ত শর্করা শোষণ করতেও বাধা দেয়।

 

৩. আয়রনের একটি ভালো উৎস কিসমিস। আধা কাপ কিসমিসে রয়েছে ১.৩ মিলিগ্রাম আয়রন। যা আমাদের দৈনন্দিন আয়রনের চাহিদার ৭ শতাংশ। আমাদের শরীরে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

 

৪. কিসমিসে বিশেষ এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। তা ছাড়া, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কোষের ক্ষতি হওয়া রুখে দিতে পারে কিসমিস।

 

৫. কিসমিসে পাওয়া যায় আরো এক উপাদান ক্যালসিয়াম যা হাড় ও দাঁতের জন্য খুব প্রয়োজন। এছাড়াও বোরন নামক এক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও কিসমিসে থাকে যা সঠিক ভাবে হাড় গঠন হতে সাহায্য করে এবং ক্যালসিয়ামকে তাড়াতাড়ি শুষে নিতে শরীরকে সাহায্য করে। মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে খুব অল্প পরিমাণে দরকার বলেই মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত কিন্তু শরীরে এর উপস্থিতির গুরুত্ব অসীম।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments