অবরোধে আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের গাড়ি মঙ্গলবার ভোর থেকে তিনদিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ করবে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো। ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
সোমবার (৩০ অক্টোরব) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সর্বাত্মক অবরোধ পালনের জন্য দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর- এই তিনদিন যে অবরোধ কর্মসূচি আছে তা সফল করার জন্য আমি দেশবাসী ও দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের এ অবরোধ কর্মসূচি রেলপথ, সড়ক ও নৌপথে চলবে।’
রিজভী বলেন, ‘এটা হবে সর্বাত্মক অবরোধ। সর্বাত্মক বলতে আপনারা জানেন, যেমন রাজধানীর সঙ্গে জেলার পথগুলোতে সংযোগ রয়েছে, জেলার সঙ্গে উপজেলা বা উপজেলার সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যে পথগুলোতে সংযোগ রয়েছে, সেসব মেইন পথে অবরোধ হবে, রেলপথগুলোতে অবরোধ হবে, নৌপথগুলোতে অবরোধ হবে।’
অবরোধের আওতাভুক্ত নয়:
রিজভী বলেন, ‘এই তিনদিনের অবরোধে আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পরিবহনের গাড়ি।’
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, লেবার পার্টি, এনডিএমসহ সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দলগুলো আলাদাভাবে অবরোধ কর্মসূচি করবে।
যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে সোমবার দুপুরে জামায়াতে ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সরকারের পদত্যাগের এক দফার দাবিতে গত ১২ জুলাই থেকে বিএনপি যুগপৎভাবে বিভিন্ন দল ও জোটকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এরপর থেকে তিন মাসে তারা টানা ঢাকাসহ সারাদেশে রোড মার্চ, পদযাত্রা, গণমিছিল, কালোপতাকা মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি, সমাবেশ-বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি করে।
এরপর গত ২৮ জুলাই তারা ঢাকায় মহাসমাবেশ করে। পরদিন ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনসহ ৯টি স্থানে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু বিএনপির সমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেয়।