সিলেটে গতকাল রবিবার হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৩ শ নেতাকর্মীকে আসামি করে পুলিশ বাদি হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
তিনি বলেন- রবিবার রাতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় দেড় শ করে অজ্ঞাত ৩ শ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুটি-ই নাশকতার মামলা।
গতকাল হরতালের সময় আটক বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতাকর্মীকে এই দুই মামলায় গ্রেফতার দেখাবো বলে জানান তিনি।
সরকার এক দফা দাবিতে গতকাল রবিবার বিএনপি-জামায়াত সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে। হরতালে উত্তপ্ত হয় সিলেট সকাল ৮টার পর থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত স্থানে স্থানে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের ‘অতর্কিত’ পিকেটিং চলে। বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বাস, রিকশা ও লেগুনায় আগুন দেন। ভাঙচুর করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে বাদ যায়নি সাংবাদিকের মোটরসাইকেলও। দুপুর পর্যন্ত বন্দর ও জিন্দাবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হয় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এসময় পুলিশ টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে।
পুলিশের দাবি- বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের হামলায় সিলেটে তাদের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে, হরতালের সময় পিকেটিং করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াত-শিবিরের সাত নেতা-কর্মী।
এদের মধ্যে ৬ জনের নাম সংবাদমাধ্যমে দিয়েছে পুলিশ। এ ৬ জন হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা ও মধুশহীদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সুনামগঞ্জ সদর থানার রংগার চর (আমবাড়ি) গ্রামের মো. আব্দুর রউফের ছেলে ইমরান আহমদ (২২), সিলেট মহানগরের কাজলশাহ’র ৮৬ নং বাসার সুলতান মাহমুদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফাহিম (২১), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার কান্ডারগাঁওয়ের নুরু উদ্দিনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭), সিলেটের দক্ষিণ সুরমার উপজেলার বড়ইকান্দি গ্রামের সেরু মিয়ার ছেলে নাদিম আহমদ (২০), একই গ্রামের মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে ওয়াহেদুল ইসলাম শহিদ (২৭)।
তাদেরকে আজ (সোমবার) আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।