নিজস্ব প্রতিবেদক:::
বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে গত চারদিনে এক হাজার ৬৮০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত (শুক্রবার) ৬৬০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলা হয়েছে ২২টি। গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আহত হয়েছেন দুই হাজার ১১০ জনের বেশি নেতাকর্মী, মামলা হয়েছে ৪২২টি, আসামি করা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৯০ জনকে, গ্রেফতার হয়েছেন চার হাজার ৩৫০ জন। এই সময়ে ১৫ মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৯০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার জন্য সরকার দলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অস্ত্রধারীকে রাখা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি ২০ গাড়ি সশস্ত্র ক্যাডার একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্রগ্রাম থেকে আনা হয়েছে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালানোর জন্য। এসব ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রুখে দেওয়া যাবে না।
রিজভী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিয়ে কী লাভ হয়েছে? এত অন্যায় এত হামলা-মামলা-নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রহারা মানুষে মানুষে মুখরিত নয়াপল্টন। বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করার জন্য মনে হচ্ছে এক ধরনের সান্ধ্য আইন জারি করেছে সরকার।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। তারপরও এমন কোনো বাধা নেই যা সরকার দেয়নি। গ্রেফতারের হিড়িক চালানো হয়েছে। সরকার বাধা দিয়েছে এই কারণে যে বাধা না দিলে উত্তাল জনস্রোতে ধাবিত হবে বিএনপির মহাসমাবেশ। যারা রাষ্ট্রীয় এত নিপীড়নকে উপেক্ষা করে আসছেন তারাই তো জাতীয় বীর। নেতাকর্মীরা বুক চিতিয়ে সমাবেশে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভরসার শক্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের শক্তির কাছে যেকোনো অপশক্তিই পরাজিত হয়।যারা ন্যায়ের পক্ষে তারা কখনো পরাজিত হয় না।