হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ভারতীয় গাঁজা চালান সিএনজিযোগে ঢাকায় পার্সেল করতে গিয়ে পুলিশের জালে আটকা পড়েছে দুই কারবারি। তারা হলেন উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের গনকীরপাড় এলাকার মৃত আ: রাজ্জাকের পুত্র মোঃ আঃ খালেক (৪০) ও একই এলাকার সিএনজি চালক মৃত হাছান আলীর পুত্র মোঃ কাউছার মিয়া (২৬)।এ সময় বিশেষ কায়দায় শুকনা পাতার গুঁড়ার মধ্যে লোকায়িত পলিথিনে কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো ৭৫ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা যায়, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে গাঁজা আনছে একটি চক্র। পরে বাহক দিয়ে নানা কৌশলে হবিগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে তা। ঝুঁকি বিবেচনায় গাঁজা পরিবহনের জন্য ২০-৩০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে চক্রের সদস্যরা। আঃ খালেক (৪০) ও মোঃ কাউছার মিয়া (২৬) নামে এ চক্রের দুজন বাহককে চুনারুঘাট উপজেলার পৌরসভার হাতুন্ডা কলেজ রোড জনৈক মিছির আলীর বাড়ির সামনে সাতছড়িগামী চেকপোস্ট বসিয়ে সিএনজি সহ চালক সহ দুজনকে গাঁজা সহ গ্রেপ্তার করা গেলেও মূলহোতা এখনো অধরা।তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না, তবে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর ) দুপুরে এসব তথ্য জানান থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল হক। তিনি জানান, চক্রটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নিত্য-নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। কখনো পিক-আপ বা ট্রাকে করে আবার কখনো সিএনজি করে গাঁজা নিয়ে আসছিল তারা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার থানার উপপরিদর্শক(এসআই) ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলী আকবর সহ একদল পুলিশ হাতুন্ডা কলেজ রোডে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, খালেক ও কাউছার কুরিয়ার মাধ্যমে গাঁজার চালান ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় পাঠানো হয়। তাদের কাছ থেকে সিন্ডিকেটের সদস্যরা গাজা কিনে নেয়। ৭৫ কেজি গাঁজার চালানটি ঢাকার এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে কুরিয়ার করার কথা ছিল। মূলহোতাসহ এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চুনারুঘাট সীমান্তে অভিনব কায়দায় চা-পাতা ব্যবসার আড়ালেও পাচার হয় গাঁজা। মাদক ব্যবসায়ী কিছু দিন ধরে অতি গোপনে অভিনব কায়দায় চা-পাতার বস্তায় অন্তরালে চা-পাতার সহিত অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা নিয়ে এসে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।এমনকি পার্সেলও করা হয়।