স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:
সুমিষ্ট ও রসালো ফল আনারস পুষ্টিগুণে ভরপুর। কম ক্যালোরি অথচ ভিটামিন ও মিনারেলে ঠাসা উপকারী এই ফল। ১ কাপ আনারসে মেলে ৮২.৫ কিলোক্যালোরি, ০.১৯৮ গ্রাম চর্বি, ০.৮৯১ গ্রাম প্রোটিন, ২১.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৩১ গ্রাম ফাইবার, ৭৮.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১.৫৩ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ মেলে। এছাড়া ভিটামিন বি, কপার, থায়ামিন, ফোলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, রিবোফ্লাভিন এবং আয়রনের উৎস আনারস। জেনে নিন নিয়মিত আনারস খেলে কোন কোন উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আনারস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস যা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
আনারসে ব্রোমেলিন নামক একদল হজমকারী এনজাইম থাকে যা প্রোটিন ভেঙে দিতে সাহায্য করে এবং হজমে সাহায্য করে।
আনারসে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যখন আমরা খাবার খাই, শরীর খাদ্য ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি ফ্রি র্যাডিক্যাল নামক অণু তৈরি করে। আনারস ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে।
আনারসে হজমকারী এনজাইম ব্রোমেলিনের রয়েছে। প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যথা উপশমকারী যৌগ হিসেবেও কাজ করে এটি। অস্টিওআর্থারাইটিসের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক আনারস।
আনারসের ব্রোমেলাইন অস্ত্রোপচারের পরে প্রদাহ, ফোলাভাব এবং অস্বস্তি কমাতে পারে।
আনারস খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন তৈরি হয়, যা কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আনারসে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি না থাকলেও ম্যাঙ্গানিজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা আমাদের হাড়ের যত্নে দারুণ কাজ দেয়।