স্পোর্টস ডেস্কঃ
সংগৃহীত ছবি
রিয়াদের সেঞ্চুরি; অভিজ্ঞতার মূল্য নেই, মাহমুদউল্লাহর দাম নেই! বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক এখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপের আসরে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি তার। বাংলাদেশের হলো ষষ্ঠ বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি। ১০৪ বলে তিনি সেঞ্চুরির দেখা পান। তাকে নিয়ে অবহেলার জবাব তিনি ব্যাটেই দিলেন। তবে ১১১ বলে ১১১ রান করে আউট হন তিনি।
এই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই নিতে চায়নি দলে। কতরকম ব্যাখ্যা তাকে দলে না নিতে। তিনি বুড়ো হয়ে গেছেন, তার ফিটনেস নেই, ধীর গতিতে রান তোলেন। বিশ্বকাপে তিনি অচল। তাকে সাইডে রেখে কত যন্তর-মন্তর চললো। সব যন্তর-মন্তরকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি ফিরলেন দলে। কারণ, তার জায়গায় যাদেরকে নানা পরীক্ষা করা হলো তারা কেউই নিজেদেরকে রিয়াদের চেয়ে উপযুক্ত প্রমাণ করতেই পারলেন না। আর রিয়াদ দলে এসে যেভাবে নিজেকে এক যুগ ধরে প্রমাণ করে যাচ্ছেন সেভাবেই প্রমাণ করে গেলেন।
রিয়াদ একজন অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার। বিশ্বকাপের মতো এত বড় আসরে অনেক চাপ থাকে। অথচ, তার অভিজ্ঞতাকে থোরাই কেয়ার করতে চাওয়া হচ্ছিল না। রিয়াদ যেন পঁচা শামুকে পরিণত হয়েছিলেন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। আর সেই পঁচা শামুক রিয়াদই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন। যেখানে সাকিব,শান্ত, লিটন, তানজিদ, মিরাজরা অধারাবাহিক।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৮২ রানের পাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশের হয়ে লড়াই করার কেউ ছিল না। সবাই যেন হাজিরা দিয়েই চলে গেলেন। আর রিয়াদ সেখানে একাই ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র ফিফটি (৬৭ বলে ৫০) তুল নিয়ে একপাশ আগলে রেখেছিলেন।
আসলে অভিজ্ঞতার মূল্য আছে। মাহমুদউল্লাহদের দাম আছে সেটাতো তিনি সেঞ্চুরি করেই প্রমাণ করলেন।