Friday, November 8, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলসকালে হাঁটার ৯ উপকারিতা, সকালে খালি পায়ে হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন সুস্থ...

সকালে হাঁটার ৯ উপকারিতা, সকালে খালি পায়ে হাটার অভ্যাস গড়ে তুলুন সুস্থ এবং নিরাপদ থাকুন

 

 

স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিনঃ

সকালে হাঁটার ৯ উপকারিতা

শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে হলে নিয়মিত একসারসাইজ করা প্রয়োজন। আর এর মধ্যে মর্নিং ওয়াক হলো সবচেয়ে সোজা। জেনে নিন মর্নিং ওয়াকের বিভিন্ন গুণাবলি।

 

 

সকালে হাঁটাচলা করার রয়েছে অনেক গুণ। কেন প্রতিদিন মর্নিং ওয়াক করবেন, রোজ সকালে নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটলে ঠিক কী কী উপকার পাবেন, একনজরে জেনে নিন সেইগুলোই। আপনাদের জন্য রইল মর্নিং ওয়াকের ন’টি গুণ। শরীর সুস্থ-সবল রাখতে হলে রোজ সকালে উঠে কিন্তু হাঁটাচলা করতেই হবে। সব বয়সীদের জন্যই এই রেগুলার একসারসাইজ প্রয়োজনীয়।

 

এনার্জি বুস্টার : সকাল সকাল হাঁটতে বেরোলে শরীর, মন সবই একদম তাজা ফুরফুরে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল উঠে একটা নির্দিষ্ট ধরে হাঁটাচলা করলে মানুষের এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়। সারাদিন ক্লান্তি ভাব কিংবা ঝিমানি ভাব থাকে না। সারাদিন কাজকর্মে উৎসাহ পাওয়া যায়। শরীর থাকে চনমনে।

 

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি : মর্নিং ওয়াকের ফলে উর্বর হয় মানব মস্তিষ্ক। তার ফলে যেকোনও কাজেই রিফ্লেক্স বাড়ে। আপনি তাড়াতাড়ি অ্যাক্টিভ হতে পারেন। বিভিন্ন গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। আর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যে উন্নতি হলে এবং মাথায় ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন হলে, অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগকেও ঠেকানো যায়।

 

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি : জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে রোজ সকালে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। দেখবেন এর ফলে নিজেকে অনেক ফ্রেশ লাগবে। চাপমুক্ত হয়ে নতুন করে কাজে মন দিতে পারবেন। সারাক্ষণ একটা মন খারাপ, খিটখিটে মেজাজের সমস্যা দূর হবে অল্প কয়েকদিনেই। আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না মানসিক অবসাদ।

 

 

অনিয়মিত ঘুমের সমস্যার সমাধান : বেশিরভাগেরই অভ্যাস রাতে শুয়ে ফোন ঘাটা। এর জেরে উড়ে গেছে ঘুম। কিন্তু যদি আপনার শরীর অ্যাক্টিভ থাকে, অর্থাৎ সকালবেলা উঠে হাঁটাচলা করেন, তাহলে ন্যাচারাল স্লিপ হরমোন মেলাটোনিনের ক্ষরণ সঠিক ভাবে হবে। তার ফলে সহজে ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন আপনি। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগতে হবে না। রাতের ঘুম ঠিকভাবে না হলে কিন্তু সারাটা দিন নষ্ট। তাই সকালে উঠে হাঁটুন। আর তার ফলস্বরূপ রাতে ভালো ঘুম হবে আপনার।

 

হার্টের সমস্যার সমাধান : যারা হার্টের রোগী, তাদের চিকিৎসকরা এমনিতেই হাঁটতে বলেন। এতে আপনার হৃদয় ভালো থাকবে। আর ‘দিল’ খুশ তো সবকিছুই ভালো থাকতে বাধ্য। দ্য হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা (বিশেষ করে মর্নিং ওয়াক) হেলদি হার্টের অন্যতম রহস্য। এর ফলে হার্টের বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনাও প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে যায়। প্রতিদিন সকালে উঠে হাঁটাচলা করলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা।

 

চারপাশের সঙ্গে সংযোগ : অনেকেই সকালবেলা দল বেঁধে হাঁটতে বেরোন। কেউ বা যান একা। কিন্তু পথে চেনা মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েই যায়। এই সামাজিক সংযোগ বর্তমান জনজীবনে ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, হাসি বিনিময়, দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে কথাবার্তা— এই সবকিছুই কিন্তু আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে আপনাকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

 

নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস : যারা ডায়াবেটিসের রোগী নিয়মিত হাঁটাচলা তাঁদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও কমে যায়। তাই দিনে অন্তত ৩০ মিনিট নিয়ম করে হাঁটুন। এর ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল। টাইপ- ২ ডায়াবেটিস এবং ওবিস রোগীদের ক্ষেত্রেও মর্নিং ওয়াক খুবই জরুরি বিষয়।

 

বডি ব্যালেন্স রক্ষা করে : হাঁটাচলা, স্ট্রেচ একসারসাইজ এইসব নিয়মিত অভ্যাস করলে আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সামঞ্জস্য অর্থাৎ তালমেল বজায় থাকে। শরীরে সঠিক ভাবে ভারসাম্য বজায় থাকলে, অতিরিক্ত মেদ না জমলে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। অর্থাৎ হাঁটাচলার মধ্যে থাকলে সুস্থ থাকবেন আপনি।

 

মাসেল এবং জয়েন্ট পেন অর্থাৎ ব্যথা কমায় : আজকাল তরুণ প্রজন্মের অনেকের ক্ষেত্রেও মাসেল এবং জয়েন্ট পেন হতে দেখা যায়। রোজ সকালে উঠে হাঁটাচলা করুন। দেখবেন এইসব ব্যথা-বেদনা কয়েকদিনের মধ্যেই দূর হবে। শরীর থাকবে সুস্থ এবং ঝরঝরে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments