শুরুটা ভালো হলে শেষ টা ভালো হয়নি বাংলাদেশের।পিচ রিপোর্টে দুই ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকর ও ইরাফান পাঠান জানান, অনেক রানের ম্যাচ হতে চলেছে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দুই ওপেনারের ব্যাটে যেমন শুরু পেয়েছিল, তাতে তিন শ ছাড়ানো স্বপ্ন উঁকি দিয়েছিল। তবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি মিডল অর্ডার। দারুণ শুরু ও শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েও ২৫৬ করেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে চোটে পড়া সাকিব আল হাসানকে বাইরে রেখে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং নেয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তার প্রমাণ দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। দেখে-শুনে শুরু করলেও পরে খোলস ছেড়ে বের হন দুই ব্যাটার। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তোলেন ৬৩ রান।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪১ বলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেন তানজিদ। তবে এরপর ইনিংসের ১৫তম ওভারে কুলদীপ যাদবকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ফেরেন ৫১ রান করে। ৪৩ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ৩টি ছয় মারেন এই বাঁহাতি।
আউট হওয়ার আগে লিটনের সঙ্গে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং রানের জুটির রেকর্ড গড়েন। আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেনের ৬৯ রান।
এরপর শুরু হয় ছন্দপতন। লিটন অর্ধশতক করলেও আউট হন ৬৬ রানে। ৮২ বলের ইনিংসটি সাজান ৭টি চারে।
দুই ওপেনারের মাঝে নাজমুল আউট হন ৮ রান করে। চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৩ রান। তাওহিদ হৃদয় আজও সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ বলে করেন ১৬ রান।
১৭৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ২২ রানে ছোট্ট এক জুটি গড়ে ফেরেন মুশফিক। ৩৮ রানে থামেন তিনি। তার আগে অবশ্য দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে এক হাজার রানের মালফক স্পর্শ করেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৬ রান করেন করেন মাহমুদউল্লাহর। শেষ ওভারে জসপ্রতি বুমরাহর বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলের ইনিংসে ৩টি করে চার-ছয় মারেন তিনি। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ দলে ৪৬ রান। তবুও ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২৫৬ রানে থামে বাংলাদেশ।