দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
দোয়ারাবাজারে আপোষ নামায় সাক্ষর নিয়েও টাকা ফেরত না দিয়ে পাল্টা ব্যবসায়ীকে হয়রানির পায়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জামাল হোসেন তালুকদার নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় টি.কে গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ (পুষ্টি) কোম্পানির পরিবেশক।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের প্যাকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও প্যাকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির মাস্টার ও তাঁর ছেলে মুমিনুল হক শাওনের সঙ্গে জামাল হোসেন তালুকদার দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ দেখা দিলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বিষয়টি স্থানীয় সালিসে দেখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫ শ’ টাকা পাওনার মধ্যে ৮০ হাজার প্রাপ্য টাকা নির্ধারণ করে তা ফেরত দেওয়া মর্মে সালিসে আপোষ মীমাংসা করা হয়। পরে বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লিখিত স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হলেও দীর্ঘদিন ধরে বাকী পাওনা টাকা ফেরত পাননি। নানা টালবাহানা করে এখন ব্যবসায়ীকে হয়রানির পায়তারা করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী জামাল হোসেন তালুকদার বলেন, জহির মাস্টার ও তাঁর ছেলের কাছে পাওনা টাকা চাইলে উপজেলা শিক্ষক আবুল কাশেম মাস্টার, মুজিবুর রহমান মাস্টার, শামীম মাস্টার, সালিশ ব্যক্তিত্ব খলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে আপোষ মীমাংসা করা হয়েছে মর্মে স্ট্যাম্পে আমার সাক্ষর নেওয়া হয়। পরে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয় কিন্তু দীর্ঘদিনেও আমার পাওনা ৫০ হাজার টাকা ফেরত পাইনি। এখন পাওনা টাকা তারা আত্মাসাতের পায়তারা করছেন। আমি এর প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছনুগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেছেন, আপোষ মীমাংসার কাগজপত্র ও টাকা আমার কাছে জমা আছে।