বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিলেটে আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘১১তম বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ’র উদ্বোধন করেছেন মহান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগরের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্টে এর উদ্বোধন করা হয়।
সংলাপ’র উদ্বোধক ও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন- দুই প্রতিবেশী দেশের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং উভয় দেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তিনি জি২০ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান এবং পি২০ পার্লামেন্টারি স্পিকার্স সামিট আয়োজনের জন্য ভারতের প্রশংসা করেন। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই দেশের সংসদের আরও সম্পৃক্ততা, নারী আইন প্রণেতাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা এবং আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন- বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এখন ৩৫ লার্জেস্ট ইকোনমির দেশ। বাংলাদেশের জিডিপি ৯০ বিলিয়ন থেকে ৪৬০ বিলিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যাচ্ছে ভারতে। যা ভারতের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশ উভয় দেশকে তার অর্থনৈতিক সুবিধা আরও গভীর করার সুযোগ দেয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন তার বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, উন্নত সংযোগ, জ্বালানি খাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, পানি খাতে সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করার উপায় অন্বেষণের মতো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ফোকাস করার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।