বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
তামিম বলেন, আমি কোনো সময়, কোনো মুহূর্তে কাউকেও বলিনি যে আমি পাঁচ ম্যাচের বেশি খেলতে পারব না। এই কথাটা কোনো সময় হয়নি। এটা একটা মিথ্যা কথা, ভুল কথা। আমি জানি না কে বা কাহারা মিডিয়াকে কথাটা বলছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি অবসরে যাই। অবসরে যাওয়ারও কারণ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আমি আবার অবসর থেকে ফিরি। এই দুই মাস আমি প্রচণ্ড পরিমান কষ্ট করে নিজেকে ফিট করার চেষ্টা করি। ফিজিও ট্রেইনারা যারা ছিলেন তারা আমার সঙ্গে একমত হবেন যে, তারা আমাকে যা যা করতে বলছে যে সেশনে আমি তা তা করি নাই নিজেকে ফিট করার জন্য।আমি কখনো বলিনি আমি ৫ টা ম্যাচ খেলবো,আমাকে প্রথম ম্যাচে খেলতে বারণ করা হয়েছে,এরপর আমাকে মির্ডল অর্ডারে খেলতে বলা হয়েছে যা আমি কখনো খেলিনি।
আমি ইঞ্জুরড নই, আমার পক্ষে এসব নেওয়া সম্ভব না, নোং’রামির মধ্যে থাকতে চাই না।
ভিডিওর শেষে আবেগজড়িত কণ্ঠে দেশসেরা এই ওপেনার বলেন, আরও অনেক কিছু ঘটেছে যা আপনারা দেখেছেন। একটা কাহিনী, দুইটা কাহিনী হতে পারে। কিন্তু একজনের সঙ্গে সর্বশেষ তিন-চার মাসে যা ঘটেছে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমার বেশিকিছু বলার নাই। আমি এতটুকুই বলব, ‘আমাকে মনে রাইখেন ভুলে যাইয়েন না’।
এর আগে ফেসবুকে তামিম ইকবাল লিখেন, আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলব। গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত-সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনভর নাটকীয়তা শেষে তামিম ইকবালকে ছাড়াই বাংলাদেশের ওয়ানডে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। ১৫ সদস্যের এই স্কোয়াডে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া আরও এক চমক লাল-সবুজের সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।