দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি,
দোয়ারাবাজার উপজেলার জুমগাঁও পাহাড়ের খ্রিস্টানপাড়ায় তীব্র পানি সংকটে দুঃসহ হয়ে উঠেছে স্থানীয় আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা। যুগের পর যুগ ধরে এ সংকট বিদ্যমান থাকলেও কার্যকর কোনো সমাধান হয়নি।
খাবার পানির জন্য এখানকার বাসিন্দারা নির্ভর করেন দূর-দূরান্তের ঝর্ণা ও ছড়ার উপর। শীতকালে সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পাহাড়ি দুর্গম পথ বেয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এখানকার প্রায় ৭০টি গারো পরিবারের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পরিবার শহরমুখী হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে তিনটি রিংওয়েল স্থাপন করা হলেও পাহাড়ে ভূগর্ভস্থ পানি না থাকায় এগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। চিরমণি হাউই বলেন, পাহাড়ে পানি সংকট যুগের পর যুগের সমস্যা। বহুবার আবেদন-নিবেদন করেছি, কোনো সমাধান হয়নি। গোলাপ মণি জানান, আমরা সংখ্যালঘু আদিবাসীদের কষ্টের কথা কে শুনবে? শুষ্ক মৌসুমে পাহাড় থেকে এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে পানি আনতে হয়। নীলিমা সাংমা বলেন, খাবার ও ব্যবহার্য পানি সংগ্রহের জন্য সকাল-বিকেল পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়।
এ সমস্যা আমাদের নিত্যদিনের। দ্বিগেন্দ্র সাংমা মনে করেন, পানি সংকট নিরসনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গভীর নলকূপ স্থাপনসহ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উৎস সংরক্ষণ জরুরি।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরূপ রতন সিংহ বলেন, জুমগাঁও পাহাড়ে পানির স্তর নেই। বিকল্পভাবে সমতলে গভীর নলকূপ স্থাপন করে সেখানে থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।