ঝলক দত্ত, শ্রীমঙ্গল:
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবং ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
এই উৎসবকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গল। উপজেলার প্রতিটি গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ও চা-বাগানজুড়ে বইছে পূজার আমেজ। প্রতিটি মণ্ডপে চলছে প্রতিমা সাজানোর শেষ মুহূর্তের কাজ। এবছর শ্রীমঙ্গলের ১৭০টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৫৭টি সার্বজনীন ও ১৩টি ব্যক্তিগত মণ্ডপ।
মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে রঙ-তুলির শেষ আঁচড়, আলোয় সাজানো প্যান্ডেল আর শিল্পকর্মের নান্দনিক ছোঁয়া। কারিগরেরা নিরলস পরিশ্রম করে প্রতিমা সাজাচ্ছেন, আর পূজা উদ্যোক্তারা ব্যস্ত মণ্ডপ সৌন্দর্যবর্ধনে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুদীপ দাশ বলেন, শ্রীমঙ্গলের প্রতিটি পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ১৭০টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আমরা চাই, ভক্ত-দর্শনার্থীরা নির্ভয়ে পূজা উপভোগ করুন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার আহ্বায়ক টিটু দাস জানান,
পূজা যেন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করেছি। পূজাকে ঘিরে শ্রীমঙ্গলে মিলনমেলার আবহ তৈরি হয়। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র আলো আর আনন্দে ভরে ওঠছে। এটি শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতির এক মহোৎসব।
পৌর আহ্বায়ক প্রনব বৈদ্য বলেন,
দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা ঘিরে প্রতিটি মণ্ডপ এখন সাজছে অপরূপ রূপে। আমরা আশা করি, এ উৎসব হবে শান্তিপূর্ণ, আনন্দঘন এবং স্মরণীয়। পূজা মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলও কাজ করবে।
এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী রঘুনাথ কালীবাড়িতে অষ্টমী দিনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আকর্ষণ থাকবে শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়ি,, লালবাগ, সবুজবাগ, রূপশপুর, শাপলাবাগ, দেববাড়ি রোড, মঙ্গলচণ্ডী থলিসহ
বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীর ভিড় জমবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যাতে ভক্ত-দর্শনার্থীরা নিশ্চিন্তে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।