কানাইঘাট প্রতিনিধি::
সিলেটের কানাইঘাট থানা পুলিশের চোরা চালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। থানার ওসি (তদন্ত) উজায়ের আলমাহমুদ আদনান গত মঙ্গলবার সাড়ে ৯টায় চোরাচালান বিরোধী এক অভিযান চালিয়ে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নে উজান বারাপৈত পূর্ব গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রশিদের বসত ঘরে থেকে ৩৯ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ তানজিলুর রহমান নামে এক
চোরাকারবারীকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের অভিযানের সময় অন্যান্য চোরাকারবারীরা মজুদকৃত ভারতীয় চিনি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় ৩৯ বস্তা ভারতীয় চিনি সহ আরো ১৫টি চিনির খালি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
থানার মিডিয়া অফিসার এসআই দেবাশীষ শম্র্মা জানান ভারত থেকে অবৈধ ভাবে চিনি এনে মজুদ এবং বিক্রির অপরাধে পুলিশ উজানবারাপৈত পূর্ব গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র গ্রেফতারকৃত তানজিলুর রহমান ২০ সহ ভারতীয় চিনির মালিক একই গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র চোরকারবারী ইবজালুর রহমান (৪০), কেউটি হাওর কেরকেরি গ্রামের আব্বাসুর রহমানের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (২৪), ভালুকমারা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর পুত্র হারিছ আহমদ (৩৫) এর বিরুদ্ধে থানার এএসআই জামীর হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
থানার মামলা নং-২৭, তাং-২৭-০৯-২৩। মামলার তদন্তকারী কর্মকতার্ এসআই পীযূষ চন্দ্র সিংহ জানান মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার আসামীরা সবাই চোরাকারবারী ও চিনি ব্যবসায়ী বলে আমরা জানতে পেরেছি। ভারতীয় চিনি আটক অভিযানের নেতৃত্বদানকারী থানার ওসি (তদন্ত) উজায়ের আলমাহমুদ আদনান জানান সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যারের নির্দেশে পুলিশের পক্ষ থেকে চোরাচালান বিরোধী অভিযান জোরদার করায় কানাইঘাটে চোরাচালান অনেকটা কমিয়ে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তারপরও যারা পুলিশ ও বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে চিনি সহ মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে তাদের ধরতে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা স্যারের দিক নির্দেশনায় থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমদের নেতৃত্বে
চোরচালান বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩৯ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।