ধর্ম ও জীবন,
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজেরও আদব ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দিয়েছে ইসলাম। এমনকি থুথু ফেলা নিয়েও রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, কিবলা বা পশ্চিম দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে থুথু ফেলা যাবে না। এটা গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কিবলার দিকে থুথু ফেলল, কিয়ামাতের দিন সে তার দুই চোখের মাঝে (কপালে) ওই থুথু নিয়ে উপস্থিত হবে। (ইবনে হিব্বান, মুসতাদরাকে হাকেম, সাহিহুল জামি: ৬১৬০)
অন্যদিকে সহিহ বুখারির এক হাদিসে আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত আছে— একবার নবীজি (সা.) কিবলার দিকে থুথু দেখলেন, যা তাকে কষ্ট দিয়েছিল।
তিনি নিজ হাতে তা পরিষ্কার করে বললেন, তোমাদের কেউ যখন সালাতে দাঁড়ায়, তখন তার ও কিবলার মাঝখানে তার রব থাকেন। তাই কেউ যেন কিবলার দিকে থুথু না ফেলে। বরং বাম দিকে বা পায়ের নিচে ফেলবে। (বুখারি: ৪০৫, মুসলিম: ৪৯৩)
শায়খ আহমাদুল্লাহ আরও জানান, কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা বা শোয়া-ও মাকরুহ ও আদববিরোধী। নবীজি (সা.) কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছিলেন। এটা মূলত কাবার প্রতি সম্মানের জন্য। তাই বিনা ওজরে কিবলার দিকে পা লম্বা করা শোভন নয়।
তবে এ বিষয়ে সৌদি আলেমদের মত কিছুটা ভিন্ন। তাদের মতে, কিবলার দিকে পা দিয়ে বসা জায়েজ, কারণ কোরআন-হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই।
উল্লেখ্য: যেহেতু বিষয়টি ইজতেহাদি (আলেমদের মতভেদপূর্ণ), তাই অধিকতর সতর্ক ও নিরাপদ অবস্থান হলো কিবলার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে থুথু না ফেলা এবং কিবলার দিকে পা না দেওয়া।