দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিভাবক সদস্যদের এক সভায় অশালীন আচরণের ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট বিকেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা মানোন্নয়ন বিষয়ক এক সভায় অভিভাবক সদস্য শফিকুল ইসলাম রতন ও ইসলাম উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হারুনুর রশীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা অশালীন আচরণে রূপ নেয়। উপস্থিত অন্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার পর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শিক্ষক বায়োজিদ হোসেন ও শহীদুল ইসলাম বলেন, অফিস সহকারী হারুনুর রশীদের কোনো দোষ ছিল না। আমরা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না।
শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ নিহা, সাদিকা জাহান মিশকাত, রাকিবুল ইসলাম রোহান ও সাব্বির আহমদ রায়হান জানান, এ ধরনের আচরণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল। আমরা রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই।
অভিযোগের বিষয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, দুই অভিভাবক সদস্যই আমার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। আমি এর বিচার চাই।
বিশিষ্ট সালিশ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হারুনুর রশীদ জানান, বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে। দীর্ঘদিন ধরেই আ’লীগের দুই গ্রুপের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসিনা মমতাজ এ ঘটনাকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন।
গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, ‘দুই পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, কালপরশু বিদ্যালয়ে বসে বিষয়টির সমাধান করা হবে।’