নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৩৬ জুলাই বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আয়োজনে ভিডিও প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) মাগরিবের পর থেকে উপজেলা চত্বর জুড়ীতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পরিবেশন করে মৌলভীবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন জলপ্রপাত শিল্পীগোষ্ঠী ও মৌলভীবাজার সাংস্কৃতিক সংসদ (মৌসাস)।
অনুষ্ঠানে এম আজিজুর রহমান এর সঞ্চালনায় তারেক মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সুত্রধর, জামায়াতে ইসলামী জুড়ী উপজেলার আমীর আব্দুল হাই হেলাল, জুড়ী থানার ওসি মুর্শেদুল হক ভুইয়া, জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাছুম রেজা, গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান, মৎস্য অফিসার মনিরুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুজাউদদ্দোল্লাহ, প্রকল্প অফিসার মিজানুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মামুন, এড. শাখাওয়াত হোসেন, ইমরানুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এম. আব্দুল্লাহ, আফজাল হোসাইন, এমরান হোসেন মনিয়ার, লুৎফুর রহমান, সাইদুল ইসলাম হৃদয়, রুবেল আহমদ, আল মাহমুদ আজিজি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ তার গতিপথ হারিয়ে গিয়েছিল, বাংলাদেশ যদি এখন তার প্রকৃত গতিপথে চলতে চায় তাহলে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। তারা বৈষম্যে বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল, আয়নাঘরের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল এগুলো বাংলাদেশ প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায্য দাবী ছিল। শুধুমাত্র আওয়ামিলীগ যারা করত তারা বাদে বাংলাদেশের বাকি সমস্ত মানুষ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তির প্রহর গুনছিল।
তারা আরও বলেন, আমাদের যতক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যু হয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আমরা ভুলব না। প্রশাসনের সকল সেক্টর থেকে দূর্নীতি বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে সরকার পতনের জন্য আমাদের আন্দোলন ছিল না; এই আন্দোলন ছিল একটি সবুজ সোনার বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য। যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য, দূর্নীতি, চাঁদাবাজি। প্রশাসনকে বলতে চাই সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।