Sunday, August 3, 2025
Homeশিক্ষালামাসানিয়া মাদ্রাসায় আলিম অনুমোদন, দুর্ভোগ এখনো রাস্তায়

লামাসানিয়া মাদ্রাসায় আলিম অনুমোদন, দুর্ভোগ এখনো রাস্তায়

 

আবু সালেহ মোঃ আলা উদ্দিন দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে::

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লামাসানিয়া দাখিল মাদ্রাসা সম্প্রতি পেয়েছে আলিম (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) পর্যায়ের সরকারি অনুমোদন। এতে প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে শিক্ষার আলো ছড়ানোর সুযোগ পেলেও ভোগান্তির নামান্তর হয়ে দাঁড়িয়েছে এর অর্ধ কিলোমিটার দীর্ঘ মাটির রাস্তা।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান, মাদ্রাসা থেকে লাস্তবেরগাঁও গ্রাম পর্যন্ত সড়কটি এখনো কাঁচা ও ভেঙে পড়া অবস্থায় রয়েছে। বর্ষাকালে কাদায় পরিণত হওয়া এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা প্রতিদিন মারাত্মক কষ্টে যাতায়াত করেন। এ ছাড়াও রাস্তার দুইদিকে পুকুর ও খালের কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যেই মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে হয়।

প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রশীদ বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের একমাত্র দ্বীনিবিদ্যাপীঠ হিসেবে আমরা আলিম পর্যায়ের অনুমোদন পেয়ে গর্বিত। কিন্তু রাস্তার বেহাল অবস্থা আমাদের অগ্রগতির পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের কাদামাটির রাস্তা পেরিয়ে মাদ্রাসায় আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

সহকারী প্রধানশিক্ষক মাওলানা জয়নাল আবেদীন ও মাস্টার আবুল কালাম বলেন,

আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল আলিম শ্রেণির অনুমোদন। সেটা বাস্তবায়িত হলেও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাস্তার পাশাপাশি বহুতল একাডেমিক ভবনেরও জরুরি প্রয়োজন রয়েছে।

মাদ্রাসার ম্যানেজিংকমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেছেন, মাদ্রাসা থেকে অর্ধকিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। দ্রুত এই রাস্তার অন্তত অর্ধকিলোমিটার পাকাকরণ জরুরি।

শিক্ষার্থীরা জানান, বৃষ্টি হলেই কাদায় পা ফেলার জায়গা থাকে না। জামাকাপড় নষ্ট হয়, বইপত্র ভিজে যায়। আমরা চাই, মাদ্রাসা থেকে লাস্তবের গাঁও পর্যন্ত রাস্তাটি যেন দ্রুত পাকা করা হয়।

এই প্রসঙ্গে দোয়ারাবাজার উপজেলা এলজিইডি অফিসার আব্দুল হামিদ বলেন,

লামাসানিয়া মাদ্রাসা সড়কের মুতির দোকান থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত অংশে পাকা রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অংশ—লামাসানিয়া মাদ্রাসা থেকে লাস্তবেরগাঁও পর্যন্ত সড়কটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা বলছেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু একটি এলাকার নয়, পুরো উপজেলার জন্য আলোর বাতিঘর হয়ে উঠতে পারে—যদি প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সহায়তা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন দ্রুত নিশ্চিত করা হয়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments