ইসলাম প্রতিদিন,
ধূমপানকারীরা নিজেরাও জানেন এটা ক্ষতিকর, তারপরও তারা তা ছাড়তে পারেন না। ধূমপান শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এর ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সিগারেট খাওয়ার অনুমোদন দেয় না ইসলাম। এ ছাড়া ডাক্তাররও ধূমপান না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন নামাজ আদায় হয় না?
উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ‘বিড়ি-সিগারেট খেলে ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না’–এ কথা কোরআন-হাদিসের কোথাও নেই। তবে মদ্যপায়ীর ক্ষেত্রে হাদিসে এরূপ বলা হয়েছে।
হজরত উরওয়া ইবনে রুওয়ায়ম রহ. বলেন, একদা ইবন দায়লামি (রহ.) আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবন আস (রা.)-এর খোঁজে বের হন। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা.)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবদুল্লাহ ইবন আমর! আপনি কি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে মদ সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন?
তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি আমার উম্মতের কেউ শরাব পান করলে আল্লাহ তাআলা তার চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল করবেন না। (নাসায়ি ৫৬৬৪)
ধূমপান করা নাজায়েজ। কেননা এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনেশুনে নিজের জানমালের ক্ষতি করা গুনাহ। অধিকন্তু ধূমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা আলাদা একটি গুনাহ। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আর দুর্গন্ধযুক্ত অবস্থায় নামাজে দাঁড়ানো মাকরুহে তাহরিমি। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরুহ। হাদিস শরিফে ধূমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্তু কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
যেসব কারণে সিগারেট খাওয়া নাজায়েজ-
১. এতে রয়েছে অনর্থক অর্থ অপচয়। আর ইসলামে অপচয় হারাম।
২. এতে রয়েছে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি। আর যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইসলামে তা হারাম।
৩. বেশি পরিমাণ পান করলে জ্ঞানশূন্যতা আসতে পারে। আর যাতে নেশা, মাদকতা ও জ্ঞানশূন্যতা আসে, ইসলামে তা হারাম।