পিন্টু দেবনাথ, মৌলভীবাজার :
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় সংঘটিত দস্যুতার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বড়লেখা পুলিশ।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, মামলার বাদী আব্দুল আহাদ গত ৩০ জুলাই দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ ঘটিকায় পূবালী ব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে ২ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। ওই টাকা সহ তার মেয়ে সুহাদা আক্তার এর ভ্যানেটি ব্যাগে রক্ষিত নগদ ১৬ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শিমুলিয়া নামক স্থানে পৌছালে ২টি মোটরসাইকেলে করে আসা ৪ জন দস্যু পথরোধ করে। তারা বাদী ও তার মেয়ে সুহাদার আক্তার এর গলায় ধারালো দা ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাদীর মেয়ের সঙ্গে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। যাহার মধ্যে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা, একটি স্যামসাং স্মার্ট মুঠোফোন, দুই ভরি রুপার চেইন, বাদীর জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড ছিল।
এ ঘটনায় ৩০ জুলাই ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে বড়লেখা থানায় দস্যুতার অভিযোগে নিয়মিত মামলা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ১ আগস্ট সিলেট জেলা ও মহানগরী বিভিন্ন থানা এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে ঘটনায় জড়িত ২ জন আসামীকে শাহপরান থানার কাজিরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সেলিম আহমদ ওরফে অনিক ৫ ভটলা সেলিম, সাং- কুলাউড়া গ্রাম, থানা- কুলাউড়া, জেলা- মৌলভীবাজার। সাকিব আহমদ, পিতা: মৃত মানিক মিয়া, সাং- মির মহল্লা, থানা- শাহপরান, এসএমপি, জেলা-সিলেট।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত মুঠোফোন, নগদ ৯৯ হাজার ৫শ টাকা, দস্যুতায় ব্যবহৃত দা, মোটরসাইকেল, হেলমেট ও অপরাধকালে পরিহিত জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আজমল হোসেন, বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহবুবুর রহমান মোল্লা, এসআই রতন কুমার হালদারসহ অন্যান্যরা।