Sunday, August 3, 2025
Homeশিক্ষাসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি নিয়ে বিবৃতি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি নিয়ে বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক,

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা ‌‘বৈষম্যমূলক’, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণ উপযোগী সকল শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।

 

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের সই করা বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

 

এতে বলা হয়, শুধু সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রয়েছে। এটি নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ানো ও ধারাবাহিকতা রক্ষায় আর্থিক সহায়তা হিসেবে কাজ করছে।

 

শিক্ষা জরিপ বলছে সরকারি বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের, যেখানে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা তুলনামূলকভাবে সচ্ছল। এ ছাড়া কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন নিজেরাই দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পরীক্ষা নেয়, যাতে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে না। এমন বাস্তবতায় সরকারি বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের পক্ষ থেকেই বৃত্তি পরীক্ষার দাবি এসেছিল।

 

সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী সরকার অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার নিশ্চয়তা দিতে বাধ্য। যারা কিন্ডারগার্টেনে সন্তানদের পড়ান, তারা তা স্বেচ্ছায় করেন। এখানে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতির কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষাকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলার কোনো সুযোগ নেই।

 

প্রসঙ্গত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করাকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ। এরপরই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন বিবৃতি এসেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments