নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেটের বিশ্বনাথের স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। এছাড়া আরও এ মামলায় আরও ১৭ জনকে দুই বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সিলেটের সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, নজমুল ইসলাম, সদরুল ইসলাম, সিরাজ আলম, জামাল আহমদ, শাহিন আহমদ, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার হোসেন।
যাবজ্জ্বীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইলিয়াস হোসেন, আব্দুন নুর, জয়নাল হোসেন, আশিক হোসেন, আছকির আলী, আকবর হোসেন ও ফরিদ আহমদ।
এই আদালতের পিপি কামাল হোসেন জানান, রায়ে ৭ জনের ফাঁসি, ৮ জনের যাবজ্জীবন ছাড়াও মোট জনকে দন্ড প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফাঁসির দন্ড পাওয়া আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকী সব আসামি রায় ঘোষণার সময় এজলাসে ছিলেন। আর প্রধান আসামি সাইফুল প্রায় ৪বছর ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সবাইকে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতননগর গ্রামের নজির উদ্দিনের ক্ষেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে চান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা স্কুল ছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে সুমেল মিয়া নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সুমেলের বাবা ও চাচাসহ ৪ জন। নিহত সুমেল শাহজালাল হাইস্কুলের ১০শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
ঘটনার পর ৩ এপ্রিল সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) কর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশীট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।